মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট। আজকাল মোবাইলে না খুললে বা ওপেন না হলে সে ওয়েবসাইটের কোন ভ্যালু বা মূল্য থাকে না। সে জন্য সব ওয়েবসাইট বা ব্লগ কে এখন মোবাইল Mobile Friendliness হিসেবে তৈরি করা হয়। মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট মানে যে সাইট বা ব্লগ সহজে সুন্দরভাবে মানুষের হাতের মোবাইল ফোনে দেখা যায় বা প্রদর্শিত হয়। আপনি যদি গুগলসহ সব সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত র্যাংকিং পেতে চান তাহলে আপনাকে সাইটের মোবাইল এসইও(সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা জরুরি। এখন বলা হচ্ছে, মোবাইল এসইও, গুগল র্যাংকিং এর জন্য বড় ফ্যাক্টর!

মানুষ যা চায়, একক্লিকে ১সেকেন্ডের মধ্যে পুরো সাইট ঝকঝকে ছবিসহ মোবাইলে দেখা যেতে হবে। তাহলে হবে সাইটটি মোবাইল বান্ধব(Mobile Friendliness)। গুগলেল ডাটা মতে, এ দেশে ৮০-৮৮% ওয়েবসাইট মানুষ ভিজিট করে মোবাইল ফোন থেকে। তাই কোন ওয়েবসাইট মোবাইল বান্ধব না হলে এবং মোবাইল এসইও করা না থাকলে যথেষ্ট অর্গানিক ভিজিটর পাবে না।
আর কোন ওয়েবসাইট যখন খুলতে দেরি করে তখন মোবাইল ব্যবহারকারী বিরক্ত হয়ে বিকল্পওয়েব সাইটে মনযোগ দেন। মন্তব্য করেন, দূর এটা খুলে না।
ওয়েবসাইট স্পিড স্লো হলে ভিজিটর পাওয়া ও গুগলের র্যাংকিং পাবার আশা একদম করা যাবে না। তাই মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট ও এসইও এখন বিশ্বব্যাপী একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে ওঠেছে।
আরও পড়ুন : নিউজ পোর্টাল এসইও কী(SEO For Journalists)
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন বা মালিক হন তাহলে আপনার জন্য নিচের পরামর্শ ও প্রশ্নগুলো জরুরি
০১. কেন আপনার সাইটে ভিজিটর নেই, বা আসছে না ?
০২.কীভাবে আপনার সাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর বাড়াবেন?
০৩. কিভাবে কী কী বিষয়ে কন্টেন্ট লিখলে গুগল সার্চে র্যাংকিংয়ে আসবে আপনার সাইট?
০৪. জানতে হবে গুগল এসইও র্যাংকিং ফ্যাক্টারস(SEO Ranking Factors) সমূহ কি কি
০৫. যেভাবে আকৃষ্টকারী বা ক্লিকেবল টাইটেল বা হেডলাইন দেবেন?
০৬. আপনার ওয়েবসাইটটি কী মোবাইল এসইও করা আছে ?
০৭. অনপেজ এবং অফপেজ এসইও এর সিরিয়াস ও আবশ্যিক বিষয়গুলো কি আপনার জানা আছে?
০৮. গুগল র্যাংকিং পেতে সেরা কী ওয়ার্ড খুঁজে পাবার উপায় কী জানা আছে ?
০৯. আপনার ওয়েবসাইটের প্রকৃত প্রতিযোগী কারা? তাদের এসইও; ওপর গোয়েন্দা গিরি করে তথ্য যেভাবে তথ্য বের করে আনবেন, তা কি আপনি জেনেছেন ?
১০. ওয়েবসাইট স্পিড বাড়ানোর সেরা কৌশলসমূহ জেনে রাখুন। কারণ SEO+ Website speed একে অন্যেরপরিপূরক। ভারি সাইটের এসইও করে লাভ নেই। যেই লাউ সেই কদু।
১১. Website বা ব্লগের Mobile SEO Optimization
আপনি যদি সাইটে ভিজিটর না পেয়ে হতাশ হয়ে থাকেন তাহলে outsourcingway.com এর এসইও সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো পড়তে থাকুন। আপনার হতাশা কেটে যাবে ইনশআল্লাহ।
গুগল র্যাংকিংয়ের জন্য মোবাইল বান্ধব বা Mobile Friendliness ওয়েবসাইট মাস্ট
যেহেতু গুগল মোবাইলে ভালভাবে দেখা যায় এমন ওয়েবসাইটগুলোকে র্যাং কিংয়ের অগ্রাধিকার দিরেচ্ছ সে কারণে সব ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
ওয়েবসাইট তৈরির আগে মোবাইল ফ্রেন্ডলি টেমপ্লেট বা ডিজাইন কি-না ত যাচাই করে নিন। পুরাতন ওয়েবসাইট হলে সেটিকে মোবাইল বান্ধব করে নিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কতখানি মোবাইল বান্ধব তা যাচাই করতে পারেন Google এর Mobile Friendly Testing Tool ব্যবহার করে।
মোবাইল ওয়েবসাইড লোডিং স্পিড
মনে রাখবেন, মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইটের পাশ<াপশি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিডও গুগলের কাছে র্যাং কিং ফ্যাক্টর। মোবাইলে যে সব ওয়েবসাইট লোড হতে তিন সেকেন্ডের বেশি সময় নেয় গুগল সে সব সাইটকে গুরুত্ব দেয় না। তারা কোন র্যাং কিংয়ে আসে না। পায় না অর্গানিক ভিজিটর।
আপনার ওয়েব সাইটের লোডিং স্পিড কেমন তা গুগলেই যাচাই করতে পারেন-এই লিংকে গিয়ে।
গুগল সাতবছর আগেই(২০১৫সালে) জানিয়েছে, গুগলে র্যাং কিং পেতে হলে রেসপন্সিভ ডিজাইনের ওয়েব সাইট যেখানে Text Size বড় এবং Site Link সহজ হতে হবে। এমন ডিজাইন গুগল পছন্দ করে যা ডেস্কটপ, ট্যাব এবং মোবাইলের জন্য একাধারে প্রযোজ্য। পানি যেমন যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের আকার ধারণ করে তেমনি ওয়েবসাইটও যেটি দিয়ে সার্চ করা হোক না কেন, সেখানে সহজে দেখা যায় তেমন হতে হবে।
মোবাইল বান্ধবওয়েবসাইট
এখন যেহেতু বিশ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি,৮০-৮৮% মানুষ গুগলে সার্চ করে মোবাইল ফোন দিয়ে সে জন্য গুগল হ্যান্ডসেট বা মোবাইল বান্ধব ওয়েব ডিজাইন (Mobile Friendliness) বা মোবাইল রেসপন্সিভ ওয়েবসাইটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে এমন নয় যে, কে উ নিশ্চিতভাবে আপনার সাইট চাইলে গুগল অন্য একটি সাইট শো করবে, তা কিন্ত নয়।
মোবাইল এসইও -লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল করা থাকলে এবং মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট হলে সোনায় সোহাগা হবে। এমন ওয়েবসাইট গুগল র্যাংকিং সহজে পাবে। যদিও তা ধরে রাখা নির্ভর করছে নিয়মিত ট্রেন্ডিং কন্টেন্ট লেখার ওপর।
মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট, মোবাইল এসইও করা থাকলে সে ওয়েবসাইট গুগলের সার্চ ফলাফলে উপরের দিকে থাকার জন্য নিয়মিত প্রতিযোগিতা করবে অর্থাৎ একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর।
আরও পড়ুন : কীভাবে বাংলা ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর এসইও করতে পারি?
ভাল লাগলে লেখাটি শেয়ার করুন।