Real online-Income-site

অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব

সিম্পল বা সাধারণ মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং। কোন একটা দোকানপাট বা ব্যবসা শুরু করার সময় যে প্রচারণা চালানো হয় তা সাধারণ মার্কেটিং।সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসু হলো অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং।যেখানে টার্গেট করে ক্রেতাকে পণ্য বিক্রয় করা যায়। অনলাইনে আয় করার উদ্দেশ্য প্রচারণা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয়, তাকে অনলাইন মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই করা যায়। এর সংজ্ঞাও ব্যাপক।

অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং  কিভাবে শিখব ? এমন প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেয়া বা তুলে ধরা সম্ভব না। আগে ও পরে প্রাসঙ্গিক আলোচনার অনেক কিছুই থাকে। যেগুলো পরিষ্কার না হলে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞানার্জন অপূর্ণ থেকে যাবে।

সাধারণ মার্কেটিং : বাজারে সরবরাহ,চাহিদা ও ঘাটতি, ক্রেতা, এলাকা ইত্যাদি যাচাই বাছাই ও তথ্য সংগ্রহ করে কোন পণ্য বা সেবা সামগ্রী বিক্রয়ের প্রক্রিয়াটি হলো সাধারণ মার্কেটিং বা বাজারজাতকরণ।

টাকার বিনিময়ে পণ্য দিয়ে ক্রেতার সন্তুষ্টি বিধান এবং কোম্পানীর উদ্দেশ্যাবলি অর্জনের জন্য ধারণা, পণ্য ও সেবার পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন, মূল্য নির্ধারণ প্রসার ও বণ্টন প্রক্রিয়ার পুরো ব্যাপারটি হল বাজারজাতকরণ বা মার্কেটিং।

আর ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ইন্টারনেট দ্বারা চালিত প্রযুক্তি কে ব্যবহার করে অনলাইন এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিপনন।ডিজিটাল মার্কেটিং করে অধিক পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা অনেক সহজ।

এ প্রবন্ধে যে সব বিষয়ে আলোচনা হবে:

০১. অনলাইন মার্কেটিং কি

০২.ট্রেডিশনাল ও অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য

০৩. অনলাইন মার্কেটিং কি

০৪. ডিজিটাল মার্কেটিং কি

০৫. ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কিকি

০৫. কিভাবে শিখব ডিজিটাল মার্কেটিং

০৬. ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ও অফলাইনে এবং পেইড ও নন পেইড কৌশলেও করা যায়।

০৭. ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স/ ট্রেনিং

এবার আসা যাক বিস্তারিত আলোচনায়:

অনলাইন মার্কেটিং কি

একটি ব্যবসার পণ্য বা সেবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার ও বিপননকে সংক্ষেপে অনলাইন মার্কেটিং বলা হয়। অনলাইন মার্কেটিং ওয়েবসাইট বা ইমেইলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সংযোগ করে এবং বিজনেস লেনদেন সম্পন্ন করে। অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবাকে ওয়েবসাইট, ব্লগস, ইমেইল,সোশ্যাল মিডিয়া, ফোরাম এবং মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে প্রচার বা তুলে ধরা বা প্রমোট করাকে বুঝানো হয়।

এটিকে কেউ কেউ ইন্টারনেট মার্কেটিং,ওয়েব মার্কেটিং বা সংক্ষেপে ওএলএমও বলে থাকেন।

ট্রেডিশনাল ও অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য

ট্রেডিশনাল ও অনলাইন মার্কেটিং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্ত একই। আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একজন দর্শক কে ওয়েব সাইট ভিজিটর, পণ্যের ক্রেতা বানিয়ে ব্যবসার লাভ করাই দু প্রকারের মার্কেটিং এর কাজ।

একনজর দেখা যাক বিশেষ কিছু পার্থক্য

 

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং

 

 

অনলাইন মার্কেটিং

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ আপনি বুঝতে পারবেন না কতজন আপনার বিজ্ঞাপন দেখছে, কতজন আপনার সেবা পছন্দ করলো, কতজন কিনতে আগ্রী। এটা অনেকটা কঠিন বিষয়।  

 

অনলাইন মার্কেটিং এ আপনি সহজে বুঝতে পারবেন কতলোক অনলাইনে আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছে, কতজন পছন্দ করলো, কতজন আপনার পণ্য ক্রয় বা সেবা গ্রহণ করলো।

এটা ব্যয় বহুল নয়। এটা অনেক ব্যয় বহুল।
এটি ব্রান্ড তৈরির জন্য তেমন ভাল পদ্ধতি নয়। এটি দ্রুত ও কার্যকরভাবে ব্রান্ড তৈরি করে।
 

ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে টেলিভিশনে খবরের মাঝখানের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। অনেকের কাছে তা বিরক্তিকর।মহাসড়কের পাশের বড় বড় বিলবোর্ড যাত্রীবাহী বাস,মিনিবাসের চালকের দৃষ্টি কাড়ে। এতে সমূহ বিপদের আশংকা থাকে।

অনলাইন মার্কেটিং এ ক্রেতা বা সেবা গ্রাহকের বিরক্তি সৃষ্টি করে না। কারণ তিনি নিজের সুবিধামত সময়ে অনলাইনে কাজ করেন। এখানে বিরক্তি বা দুর্ঘটনার কোন কারণ উদ্ভব ঘটে না।
এ পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবার বিস্তারিত বর্ণনা থাকে না।ক্রেতার মনে নানা প্রশ্ন থাকে সে সবের উত্তর লেখার সুযাগ নেই।প্রিন্ট বিজ্ঞাপন অল্প কথায় শেষ করতে হয়। কিন্ত অনলাইন বিজ্ঞাপনে সব ধরনের তথ্য সংরযাগ করা যায়। অন্যান্য পণ্য বা সেবার সাথে তুলনামূলক চিত্র দেখানো সম্ভব।দাম সুবিধা ও উপকার সবকিছু তুলে ধরা যায় অনলাইন বিজ্ঞাপনে ।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি :

ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে পরিচালিত প্রচারণায় প্রকৃত অর্থে ডিজিটাল মার্কেটিং। চ্যানেলগুলো হল: যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া,মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন,ইমেইল,ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, সার্চ ইঞ্জিন,ওয়েবসাইটস,ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি।ডিজিটাল মার্কের্টিং চলছে প্রায় এক যুগ ধরে। কৌশলগত কারণে এটি অনলাইন ও অফলাইন উভয়ক্ষেত্রে হতে পারে।

যাইহোক, এটা একটি বিপনন কৌশল যে টি প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি টিভি চ্যানেল এবং সরাসরি ইমেইল দিয়ে বহুমুখি চ্যানেলের মাধ্যমে ক্রেতাকে পণ্য বা সেবা ক্রয়ে উৎসাহিত বা আকর্ষন করে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কিকি

০১.  সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং/Social Media Marketing (SMM)

০২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং/Search Engine Marketing (SEM)

০৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মার্কেটিং/Search Engine Optimization (SEO)

০৪.ভিডিও মার্কেটিং

বিশ্বের ছোট বড় সব কোম্পানী নিজেদের পণ্য বা সেবার ওপর ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করেন। গুগল এর পর সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় ইউটিউবে। সেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ নানা কিছু শিখার বা জানার জন্য ভিডিও সার্চ করে থাকে। ভিডিওর মাধ্যমে মানুষকে বোঝানো সহজ।

০৫. ব্লগ বা ওয়েবসাইট মার্কেটিং

০৬. ইমেইল মার্কেটিং

০৭. এসএমএস মার্কেটিং

আজকাল প্রত্যেকটা লোকের হাতে হাতে মোবাইল ফোন।আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়ে ২/৪লাইন লিখে সহজে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে জানান দিতে পারেন সহজে। প্যাকেজ কিনলে ১০টা খরচ করে হাজারো মানুষকে এক সাথে মেসেজ দিতে পারেন।

০৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

০৮. ফোরাম মার্কেটিং

 

কিভাবে শিখব ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে,পুরো টিউটোরিয়াল জানতে, এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ওপর ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

দারুন এক ক্যারিয়ারের নাম ডিজিটাল মার্কেটার। এ বিষয়ে জ্ঞানার্জন করে দক্ষতা আয়ত্ব করতে পারলে আপনাকে অনলাইন ইনকাম নিয়ে পেছনে তাকাতে হবে না। টাকা আপনার ঘরে চলে আসবে। চাই শুধু দক্ষতা ও সার্টিফিকেট স্বীকৃতি। এখন যে কোন ব্যবসার জন্য খোঁজা হয়, ডিজিটার মার্কেটার। দিন দিন সারাবিশ্বে বাড়ছে ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সে কারণে বাড়ছে ডিজিটার মার্কেটার এর ব্যাপক চাহিদা। দেশি বিদেশি নানা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও ফ্রি ও টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স পরিচালনা করছে।

সঠিক কোর্স সম্পন্ন করে আপনি মার্কেট প্লেস বা কাস্টমারদের কাছ থেকে কাজের অর্ডার নিতে পারবেন। অনেক অনেক ধরনের কাজ পাবেন, আপনাকে বসে থাকতে হবে না। কাজ আপনার পেছনে দৌঁড়াবে। এ লেখাটি আগাগোড়া পড়লে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারছেন কতরকমের মার্কেটিং এর কাজ রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং টিউটোরিয়াল/ ক্যারিয়ার

আধুনিক অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে বা পুরো টিউটোরিয়াল সম্পর্কে জানতে নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে যা শিখতে হবে :

যেভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করবেন ?

প্রথমত: জানতে হবে একজন ডিজিটাল মার্কেটার কিভাবে আয় করেন ?

  • মার্কেট প্লেস এনালাইসিস
  • ফিভার মার্কেট প্লেস ক্লাস

 

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা:

  • ডিজিটাল মার্কেটিং কি—ইতোপূর্বে জেনেছি
  • আপনার মার্কেটিং প্লান কিভাবে গঠন করবেন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর শর্তাধি
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(Search engine optimization) (SEO)
  • অন পেজ এসইও(On-Page SEO)
  • অফ পেজ এসইও(Off-Page SEO)

গুগল অ্যানালাইটিক্স এবং ওয়েব মাস্টার

  • ডাটা এনালাইসিস(Data Analysis)
  • এনালাইটিক্স এবং ওয়েবমাস্টার বেসিক টুলস
  • গোল এবং ইভেন্ট ট্রেকিং (Goal and Event Tracking)

গুগল এডওয়ার্ডস (Google AdWords)

  • কেন প্রয়োজন ?
  • গুগল এডওয়ার্ডস বেসিক
  • লাইভ ক্যাম্পেইন সেটআপ


ক) ফেসবুক মার্কেটিং

  • ফেসবুক মার্কেটিং প্রাথমিক ধারণা
  • ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং
  • ফেসবুক ফ্যান পেজ কাস্টমাইজেশন
  • ফেসবুক পেজ ফর লোকাল বিজনেস
  • ফেসবুক মার্কেটিং কৌশল
  • ফেসবুক বিজনেস ম্যানেজার জে সেটআপ
  • পেমেন্ট সিস্টেম
  • পোস্ট বুস্টিং
  • ফেসবুক এড স্টেআপ & প্রমোশন
  • কিভাবে কাস্টমার টার্গেট করবেন
  • ফেসবুক ইভেন্ট মার্কেটিং, রিটার্গেটিং

খ) টুইটার মার্কেটিং

গ) থামলার(Tumbler)মার্কেটিং

ঘ) ইনস্ট্রগ্রাম মার্কেটিং

ঙ)  লিঙ্কডিন মার্কেটিং(LinkedIn) মার্কেটিং

চ) পিনটারেস্ট(Pinterest) মার্কেটিং

গুগল এডসেন্স ও কন্টেন্ট মার্কেটিং : দুটি বিষয় হলেও এরা পরস্পর অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

  • একটি নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের শুরুতে কোন ধরনের কন্টেন্ট লেখা উচিত
  • কন্টেন্ট লেখার নিয়মাবলী
  • নতুন নতুন কি ওয়ার্ড রিসার্চ
  • আপনার প্রতিযোগিদের তুলনায় আপনার ব্লগে কোন ধরনের কন্টেন্ট নেই তা চিহিৃত করণ
  • কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর গুরুত্ব
  • কিভাবে লিখবেন একটি সেরা কন্টেন্ট
  • ভাইরাল পোস্ট কিভাবে লিখতে হয়
  • কন্টেন্ট লেখার সময় এসইওর যে বিষয়গুলো খেয়ালরাখা উচিত
  • গুগল এডসেন্স কি
  • কিভাবে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গুগল বিজ্ঞাপন দেয়,গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা পাবেন।
  • এডসেন্স বিজ্ঞাপন পলিসি
  • একটি লাভজনক ওয়েবসাইটে কি কি থাকা দরকার।
  • রেসপনসিভ ওয়েবসাইটের ডেভল্পমেন্টের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু
  • ওয়েবসাইটের গোল এবং ইভেন্ট ট্র্যাকিং

গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক

  • ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • এসএমএস মার্কেটিং

 

ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ও অফলাইনে এবং পেইড ও নন পেইড কৌশলেও করা যায়। যেমন:

০১. পার ক্লিক এডভারটাইজিং(Pay-per-click advertising) (PPC)

পে-পার-ক্লিক একটি মডেল হলো বিজ্ঞাপনের। যেখানে মার্কেটার বিজ্ঞাপনে প্রতিটি ক্লিকের জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করেন। এখানে মূলত: ভিজিটর ক্রয় করা হয়। সার্চ ইঞ্জিনে প্রথমে বিজ্ঞাপনটি প্রদর্শন করা হয় এই জন্য যে, যাতে ভিজিটর ক্লিক করেন। এটাকে পেইড সার্চও বলা হয়।

 

০২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(Search engine optimization) (SEO)

গুগলের সার্চ ফলাফলে প্রথম দিকে নিয়ে আসা হল এসইও’র প্রধান লক্ষ।ব্যবসা প্রতিষ্টানের ওয়েবসাইটে বেশি বেশি  ভিজিটর আনা। কী ওয়ার্ড, প্রতিশব্দ ব্যবহার করে তৈরি একটি পূর্ণাঙ্গ কন্টেন্ট সহজে সার্চ ফলাফলে উপরের দিকে স্থান পায়। একটা ওয়েবসাইটের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক তৈরি করে সংযোগ বৃদ্ধি করা, কিছু কাজ করে সাইটকে জনপ্রিয় করে তোলাই এসইও’র কাজ।

একজন এসইও’ মার্কেটার প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা আয় করতে পারেন।

মার্কেটার ও মার্কেটিং কৌশলের ওপর নির্ভর করে এসইও কেমন কাজ করে। কন্টেন্ট যদি ভালভাবে এসইও করা হয়, তাহলে কন্টেন্ট নহজে ইন্ডেক্সিং হবে। সার্চ ক্রল যাতে ঠিকমত সাইটে ভিজিট করতে পারে সে জন্য ওয়েবসাইটে কোন প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না।

 

  • একটি উচুমানের কন্টেন্ট এ অবশ্যই এক বা একাধিক কীওয়ার্ড থাকে।হেডলাইনেও তার প্রতিফলন দেখা যায়।

 

০৩. ইমেইল মার্কেটিং (Email marketing)

ইমেইল মার্কেটিং হল একটি জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং। সংক্ষেপে ইমেইল বার্তায় কোন পণ্য বা সেবাকে সম্ভাব্য ক্রেতার সামনে তুলে ধরা হয়। আপনি যদি একটু গভীরে যান তাহলে দেখতে পাবেন ইমেইল মার্কেটিং ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি করেছে।ইমেইলের মাধ্যমে কেবল সম্পর্ক তৈরি হয় না, বরং পণ্য বা সেবার ব্রান্ডিংও গড়ে ওঠে।

 

০৪. কন্টেন্ট মার্কেটিং(Content marketing)

কোন পণ্য বা সেবাকে ব্রান্ডিং করার জন্য গল্পের ছলে তথ্য শেয়ার করাই হল কন্টেন্ট মার্কেটিং।মূল উদ্দেশ্য হল ভিজিটরকে কৌশলে ক্রেতা বানানো। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনার পরিচয় দিন নিচের লাইনগুলো পূরণ করে, ইমেইল দিয়ে সাইনআপ করে অথবা পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে।কন্টেন্ট হল ব্লগ পোস্ট,বর্ণনা লেখা,ই বকুস,ডিজিটাল ভিডিও ,পডকাস্ট। কাস্টমারের কেন দরকার পণ্য বা সেবাটি সে সম্পর্কে অবগত করানো,পরে বিক্রয়ের চেষ্টা। কন্টেন্ট হবে এমন পাঠক বা ওয়েবসাইট ভিজিটরের মনযোগ আকর্ষন করা যায়।ওয়ান টাইম ব্যবসা নয়,লক্ষ্য হবে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করা।

০৫. মোবাইল মার্কেটিং (Mobile marketing)

এই ডিজিটাল মার্কেটিং এসএম এস এর  স্মার্ট ফোন বা ট্যালেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পাঠক, ক্রেতাদের কাছে সহজে পৌঁছে যায়।মোবাইল মার্কেটিং সব সময় পৌছাবে কেবল এসএসএর মাধ্যমে।

 

০৬. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social media marketing)

পণ্য বা সেবার পরিচয়, ব্যাপক পরিচিতি বাড়ানো এবং পাঠককে ওয়েবসাইটের দিকে আনতে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ক্রেতার সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।

এখানে কন্টেন্ট শেয়ার করা যায়, কাস্টমারের মতামত ও পরামর্শ পাওয়া যায় এবং সেই সাথে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অনলাইনে প্রচুর আয় করা যায়।

 

  • ক)–ফেসবুক মার্কেটিং (ভিডিও মার্কেটিং)
  • খ)–ইউটিউব মার্কেটিং(ভিডিও মার্কেটিং)
  • গ)–টুইটার মার্কেটিং
  • ঘ)—ইনস্ট্রগ্রাম মার্কেটিং

 

০৭. ফোরাম মার্কেটিং (Forum marketing)

০৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate marketing)

এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে একজন ব্লগ বা ওয়েবসাইট মালিক প্রতিমাসে বিপুল অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। যদি তার সাইটটি অধিক জনপ্রিয় হয়। এটি করতে জানলে ছোটখাট পরোক্ষ আয়ের দরকার হয় না। এখানে একজন আরেকজনের ব্যবসার সহযোগী হিসেবে ব্যবসার পণ্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন লাভ করে থাকেন। আপনি একটি রিভিউ লিখলেন, লেখায় মুগ্ধ হয়ে কেউ একজন পণ্য বা সেবা ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে লিংকে ক্লিক করে মূল বিক্রেতার ওয়েবসাইটে গেল। পন্য বা সেবা কিনল। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের মূল্য হতে একটি কমিশন পাবেন। এটিই হল মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বহুভাবে এই মার্কেটিং করা যায়।

 

০৯. মার্কেটিং অটোমেশন(Marketing automation)

১০. ইনফ্লুয়েন্চার মার্কেটিং(  Influencer marketing)

১১. রেফারেল মার্কেটিং(Referral marketing)

১২.  ভাইরাল মার্কেটিং

১৩.   ডাটা এনালাইটিকস

১৪. রেডিও এডভারটাইজিং

রেডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা পুরাতন নিয়ম হলেও আজও রেডিও শক্তিশালী গণমাধ্যম। এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইলে এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও । বেসরকারিখাতে প্রচুর রেডিও স্টেশন রয়েছে। গান, গান ও নিউজ, ফান ও নিউজ, আরো কত কি প্রচার করে এসব রেডিওগুলো। রেডিওর বিজ্ঞাপন অনেক কম খরচে দেয়া যায়।

 

১৫. টেলিভিশন এডভারটাইজিং

টেলিভিশন, অনলাইন টেলিভিশন, স্মার্ট টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখানো ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং অপূর্ণ থেকে যায়।সাধারণ মানুষ এখনও দৈনিক ৩/৪ ঘন্টা , শিশুরা ৪/৬ ঘন্টা প্রতিদিন টেলিভিশন দেখার পেছনে সময় ব্যয় করে। মোবাইল ফোন ঘড়ি,টর্চলাইট,রেডিওর স্থান দখল করলেও টিভির স্থান দখল করতে পারে নি। ছোট বা বড় স্ক্রিনে টিভি দেখার মজাই আলাদা।পত্রিকা এবং রেডিও চেয়ে টেলিভিশন অনেক শক্তিশালী গণমাধ্যম।টেলিভিশন বিজ্ঞাপন একটু  ব্যয়বহুল হলেও সহজে মানুষের মন অর্জন করতে পারে। টিভি এডস বেশি কাজ করে এফএমসিজি প্রডাক্টস, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা, ক্লথিং ব্রান্ডস, কারস, মেডিসিন এবং ফুড আইটেমের প্রচারণায়।

১৬. ডিজিটাল সাইনবোর্ড এডভারটাইজিং( যেটি সড়কে পার্শ্বে দেখা যায়)

১৭.ইনস্ট্যান্ট মেসেনজারস মার্কেটিং(Instant Messaging Marketing)

ইনস্ট্যান্ট মেসেনজারস( Instant messengers) হল আধুনিক যোগাযোগের ট্রেন্ড। আলোচিত যোগযোগ মাধ্যম। বিশ্বের দেড় বিলিয়ন মানুষ হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক মেসেনজার, ইমো এবং উই চ্যাট ব্যবহার করে থাকেন।  আপনি যদি মনে করেন, আপনার ভিজিটর, পণ্য বা সেবা ক্রেতারা বেশি ইমো ব্যবহার করে, তাহলে আপনি ইমোতে গ্রুপ খুলে ইনস্ট্যান্ট মেসেজের মাধ্যমে আপনার প্রচারণা চালাতে পারেন।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলাদেশ:

বাংলাদেশে বসে নিচের ফ্রি জনপ্রিয় কোর্সগুলো যদি আপনি করতে পারেন, অবশ্যই আপনি একজন সেরা মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। কেবল ধৈর্য্য করে শেখার চেষ্টা করতে হবে।ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করতে এসব কোর্স করার বিকল্প নেই। আগে ফ্রি কোর্স করে নিজেকে ঝালাই করে নিন। তারপর না হয় পেইড কোর্সের মাধ্যমে নিজেকে অনলাইন আয়ের জন্য চূড়ান্তভাবে তৈরি করে নেবেন।

৫টি ফ্রি জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স/ট্রেনিং

০১. গুগল ডিজিটাল গ্যারেজ

০২.স্কিলশেয়ার ডিজিটাল মার্কেটিং

০৩. হাবস্পট ডিজিটাল মার্কেটিং

০৪.হুটসুই্যট (Hoot Suit) ডিজিটাল মার্কেটিং

০৫. ই মার্কেটিং ইনস্টিটিউট

 

ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স/ট্রেনিং বিষয়ে নিচে সামান্য আলোচনা না করলে মনে হচ্ছে কিছুটা অপূর্ণতা থেকে যাচ্ছে।

০১. গুগল ডিজিটাল গ্যারেজ:  এখানে ২৫টি ফ্রি মার্কেটিং কোর্স রয়েছে।যে গুলো করলে আপনি ফ্রি সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। এই কোসটি করে জানতে পারবেন-

* ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা পাবেন

*কিভাবে অনলাইনে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা যায়

* কিভাবে গ্রাহক বা ক্রেতা সৃষ্টি করবেন

* কিভাবে বিজ্ঞাপন দিতে হবে

* কিভাবে ব্যবসা বাড়াবেন

*গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ি পণ্য বা সেবা তৈরির উপায়

০২.স্কিলশেয়ার ডিজিটাল মার্কেটিং:

এই কোর্সের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(এসইও) সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান পাবেন। তাছাড়া

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ভিডিও মার্কেটিং

ব্লগ প্রমোশন

লিড জেনারেশন

ইমেইল বা এসএমএস মার্কেটিং

গুগল এডস কিভাবে তৈরি করতে হয়

মার্কেটিং কন্টেন্ট তৈরির কৌশল জানবেন।

 আরও পড়ুন : আউটসোর্সিং : কী, কাকে বলে, কিভাবে শুরু করবো

০৩. হাবস্পট ডিজিটাল মার্কেটিং

ভিডিও ভিত্তিক ফ্রি এই কোর্সটি করে ১ ও ২নং এ আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবেন। এ সব কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন  করলে পাবেন সার্টিফিকেট, যেটি অনলাইন ইনকাম করতে আপনাকে দারুনভাবে সহযোগিতা দেবে।

০৪. হুটসুই্যট (Hoot Suit) ডিজিটাল মার্কেটিং : ৬ঘন্টা ব্যাপি ছয়ভাগে বিভক্ত কোর্সটি ১ ও ২ নং এ যা শিখেছেন তাই শিখতে পারবেন ঘরে বসে। তবে কোন সার্টিফিকেট পাবেন না। সার্টিফিকেট পেতে চাইলে একটি অপশনাল কোর্স আছে সেটি শেষ করতে হবে।

০৫. ই মার্কেটিং ইনস্টিটিউট: ১৫৫ পাতার একটি ই বুক এর মাধ্যমে এই কোর্সটি ফ্রিতে করতে পারবেন।বইটি পড়া শেষে ৫০টি প্রশ্নের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ৫০নম্বর পেলেই আপনাকে পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।

উপরের যে কোন একটির ফ্রি কোর্স করলেই অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার বেসিক ধারণা অর্জন হয়ে যাবে। সবগুলো কোর্স করতে হবে না। এ সবের বাইরে আর কি কি বিষয় শিখতে হবে সেটাতো বলাই আছে। আমার মনে হয় নিজে নিজে চেষ্টা করলে পেইড কোর্সের প্রয়োজন পড়বে না।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না।যে সব ব্যবসায়ী নতুন পণ্য বা সেবা বাজারজাত করতে চলেছেন তারা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গ্রহণ না করে আদিমযুগের পদ্ধতিতে পণ্যবাজারজাত করতে চান, তাহলে অচিরেই প্রতিদ্বন্দ্বীর হাতে ধরা খেয়ে সর্বস্ব হারিয়ে বাড়ি ধরবেন।

মাধ্যমে পণ্য বা সেবাকে ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্টা করতে ডিজিটাল প্রচালনার বিকল্প নেই। পণ্য বা সেবা বিপনন করার আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সম্ভাব্য ক্রেতার মতামত, চাহিদা কেমন তা যাচাই করা সম্ভব। এতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ি পণ্য বা সেবা বাজারজাত করা সম্ভব হয় বলে এদিকে দ্রুত ব্রান্ডিং করা সম্ভবপর হয়।

বিশ্বব্যাপি ডিজিটাল মার্কেটিং এর  গুরুত্ব অত্যাধিক হিসেবে গণ্য করে বহুরকমের প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়েছে। অনেক মূল্যবান এসব কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পারলে বিশ্বের অনলাইন বাজারে আপনার চাকরি পাওয়া, কাজ পাওয়া পান্তাভাতের মত সহজ হয়ে পড়বে।

 

বর্তমানে কোন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং পথ অনুসরণ করছেন তা জানাবেন, সে সাথে উপরের আলোচনায় আপনার সামান্যটুকু লাভ হলেই পোস্টের নিচে লাইক দিতে বা শেয়ার করতে অনুরোধ রইলো।

Leave a Comment

Scroll to Top