আউটসোর্সিং : কী, কাকে বলে, কিভাবে শুরু করবো
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট, অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়,
ভূমিকা : করোনার কারণে সরকারি লকডাউনে আটকে দীর্ঘদিন বাসায় ছিলাম।আশপাশে হাঁটাহাটির জন্য বের হলেও প্রয়োজনীয় দুরত্ব বজায় রাখতাম। তবুও কথা বার্তা আদাপ্রদান বন্ধ ছিল না।
তরুণ,যুবক,ছাত্র-ছাত্রী বা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস বা কাজ পাবার সাইট হতে অতিরিক্ত আয় করতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে নানা প্রশ্ন ও কথাবার্তা শুনেছি। ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং,অনলাইনে ইনকাম (Online Income) নিয়ে নানা বিভ্রান্তি।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা জব সাইটগুলো হতে যে আয় ফ্রিল্যান্সাররা করেন তাকে মূলত : আউটসোর্সিং আয় বলা যাবে না, বলতে ফ্রিল্যান্সিং আয়। আউটসোর্সিং আয় বলতে কিছু নেই, আউটসোর্সিং করে ব্যয় হ্রাস করা যায়। তেমনি অনলাইনে আয় বলে কিছু নেই। কোন একটা কোম্পানীর বিজ্ঞাপন, ভিডিও ১৫-৩০সেকেন্ড দেখে, লাইক, শেয়ার করে,বা তাদের দেয়া লিংকে(ওয়েবসাইট) ভিজিট করে, ছোট ছোট ২/৪/৬/১০ পেনি/পয়সা আয় করাটাও অনলাইনে আয় নয়। এটি হবে ফ্রিল্যান্সিং আয়।
আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট অন থাকলে, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে দেখাবে আপনি অনলাইনে রয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোন কাজ করে আয় করাকে ইন্টারনেট ইনকাম বা অনলাইনে আয় সাধারণত বলা হয়ে থাকে।
এবার আসা যাক,
আউটসোর্সিং কি, কাকে বলে, ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে
প্রশ্নঃ আউটসোর্সিং কি ?
উত্তরঃ আউটসোর্সিং(Outsourcing) দুইটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। একটি হল “আউট” অপরটি “সোর্সিং”। অর্থাৎ যখন কোন কাজ ৩য় পক্ষের মাধ্যমে আদায় করে নেয়া হয়, সাধারণত সেটাকেই আমরা আউটসোর্সিং বলে থাকি। যেমনঃ অনেক প্রতিষ্টান কিছু কাজ তাদের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীর পরিবর্তে বাইরে কাউকে দ্বারা কাজটি করে থাকেই সেইই আউটসোর্সিং। সংক্ষেপে বলতে গেলে,আউটসোর্সিং হল নিজের কাজ কোন একটা মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়া।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি?
Freelancing শব্দটিকে দুভাগ করলে একটি হল “ফ্রি” অপরটি “ল্যান্সিং”।অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং অর্থ মুক্ত পেশা।চাকুরি, অফিস ছাড়া যে পদ্ধতিতে নিজের দক্ষতা কাজে ঘরে বসে বা ব্যক্তিগত অফিসে বসে বাইরের কোন প্রতিষ্টানের কাজ করে যে আয় করা যায়, এ পথটিকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং হলো ইন্টারনেট সেবা কাজে লাগিয়ে বাসায় বসে অন্যের কাজ করে দেওয়া কিংবা নিজের প্রোডাক্টগুলো ঘরে বসেই বিক্রি করে দেওয়া।
বর্তমানে আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দুবাইয়ের একজন ব্যবসায়ির অফিসের কিছু কাজ করে দিতে পারেন।
কাজের বিনিময়ে দুবাই নিবাসী আপনাকে কিছু টাকা দিলে, সেটিকে ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম, অনলাইনে ইনকাম বা অনলাইনে আয় হয়েছে বলতে পারেন।
দুবাইয়ের লোকটি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আপনাকে পেল,কাজটি দিল, কাজ বুঝে নিয়ে টাকা দিল। লোকটির কাজটি হল আউটসোর্সিং ওয়েতে। লোকটি কেন , এভাবে কাজটি করলো,
বিশদ আলোচনার আগে, নতুনদের বুঝতে হবে
আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি
আমাদের দেশে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে আয়, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদির সংজ্ঞা,ধারণা, কাকে বলে, এ সব নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার মধ্যে।সবাই যুক্তিও দিচ্ছেন।
প্রশ্নঃ আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
উপরের দুটি সংজ্ঞ হতেসহজে ।অনুমেয় যে, আউটসোর্সিং হচ্ছে ৩য় পক্ষ দ্বারা কিছু কাজ করিয়ে নেয়া আর কোন বাধা ছাড়াই নিজের মনের মত যখন খুশি তখন অনলাইনে কাজ করে আয় করা টা ফ্রিল্যান্সিং।
আউটসোর্সিং করে আয়, না কি ফ্রিল্যান্সিং করে আয়?
মূলত এখানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান আয় করেন না। ব্যক্তি আয় করেন ফ্রিল্যান্সিং করে। আর প্রতিষ্টান যে কাজটি করে সেটি হল আউটসোর্সিং। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্টান হল আউটসোর্সার। যিনি মার্কেটপ্লেস থেকে বিড করে কাজটি নিয়ে করে দিলেন তিনি হলেন ফ্রিল্যান্সার।
প্রতিষ্টান মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বাইরের লোককে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়, কোম্পানীর খরচ কমায়, কম খরচে কাজ করিয়ে নেয়।মাসিক বেতনের লোক রেখে যে খরচে কাজটা করানো যায়, তা বাইরের ফ্রিল্যান্স জব সাইটের মাধ্যমে কাজটা করে নিয়ে কোম্পানীর চলতি খরচ হ্রাস করে। ইউরোপ-আমেরিকার ছোট ছোট কোম্পানী আউটসোর্সিংওয়েতে (outsourcingway) কাজ করে থাকে।
আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করবো, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
আবার পুন:বার বলছি যে, আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং দুটি বিপরীত বিষয়, দুটিকে একসাথে করে গুলিয়ে ফেলবেন না। আউটসোর্সার ( যিনি কাজ দাতা) আর ফ্রিল্যান্সার(যিনি কাজ করেন,করে দেন)। বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া যেমন এক নয়।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে চান, হাহলে নিচের যেকোন একটি উপায়ে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে প্রথম শর্ত হলো ০১. ধৈর্য্য,০২. ধৈর্য্য,০৩. ধৈর্য্য। রাতারাতি,২সপ্তাহ কাজ শিখে, ২মাস মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে প্রধান আয়ের পেশা হিসেবে নিতে পারবেন না।
কোন উপায়ে অনলাইন ইনকাম শুরু করবেন:
০১. Youtube Video টিউটোরিয়াল দেখে দেখে শেখা।
০২. বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের ভিডিও টিউটোরিয়াল চর্চা করে
০৩. কোন প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং কোর্স সম্পুর্ণ করা।
০৪. ব্যাক্তিগত ভাবে কোন বন্ধু বা বড়ভাইয়ের নিকচ ফ্রিল্যান্সিং কাজের হাতে খড়ি নেয়া।
০৫. বই পড়ে কিছু শিখতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে Youtube Video টিউটোরিয়াল এর সাহায্য বেশ সহায়ক।
প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির কাছে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার পূর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সম্পর্কে জেনে নেবেন।তিনি অনলাইনে আয়ে কতটুকু অভিজ্ঞ। তার প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও চেক করবেন।
অনলাইনে ইনকাম, আয় করার ওয়েবসাইট
আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস,
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বেশ কিছু আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস, ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সাররা কাজ খুজেন। আবার যারা প্রতিষ্ঠানের মালিক বা তার পক্ষে কর্মকর্তারাও দক্ষ ফ্রীল্যান্সারদের খুঁজেন এসব ওয়েবসাইটে।
বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু নির্ভরযোগ্য আউটসোর্সিং জবসাইট বা মার্কেটপ্লেস :
(১) আপওয়ার্ক ডটকম
(২) পিপল-পার-আওয়ার ডটকম
(৩) ফ্রিলান্সার ডটকম
(৪)৯৯ডিজাইন ডটকম
(৫) ফিবার ডটকম
(৬) গুরু ডট কম
আরো বহুসংখ্যক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারেন।তবে সেগুলো থেকে টাকা ঠিকমত পাওয়া যায় না।
আউটসোর্সিং/ ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
বাংরাদেশের রাজধানী ঢাকায় বেশ কিছু ভাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
যদি আপনার কোন কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে, অনলাইনে কোন কাজে বেশি বেশি চাহিদা, অনলাইন ইনকামও বেশি সে কাজটা আপনি যদি নতুন হন তাহলে শিখতে পারেন। মার্কেটপ্লেসগুলোতে হাজার হাজার ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। আবার সাব ক্যাটাগরিরও। কাজের কোন অভাব নেই। শুধু দরকার দক্ষতা সম্পন্ন লোকের।
এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন পেতে আরো পড়ুন :অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়
Outsourcing and Freelancing কোর্স করতে হলে যে সব বিষয় সম্পর্কে আপনাকে প্রাথমিক ধারণা নিতে হবে এবং কৌশল শিখে নিতে হবে সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
০১. বিভিন্ন মার্কেট প্লেস বা আউটসোর্সিং জব সাইটের সাথে পরিচিতি
০২. প্রোফাইল তৈরি
০৩. পোর্টফোলিও তৈরি
০৪. কাজ নির্বাচন( যে কাজটিতে নিজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেটিকে প্রাধান্য দেবেন। কাজ ভালভাবে না জানলে শিখে নেবেন, সে কাজটি অন্য যারা করছেন তাদের প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও দেখে নেবেন)
০৫. ঘন্টা ভিত্তিক বা ফিক্সড প্রাইসের কাজ হলে নিজের অফার রেট কিভাবে নির্ধারণ করবেন শিখে নিতে হবে।
০৬. জব পেতে কিভাবে বিডিং করতে করতে হয়
০৭. কাজ পেলে বায়ারের(কাজদাতা) সাথে ছোট চুক্তি,মেসেজ আদান প্রদান এবং সবোর্পরি কিভাবে বায়ারকে হ্যান্ডেল করতে হয় জানতে হবে।
০৮. কাজের অগ্রগতি টাইম টু টাইম বায়ারকে অবহিত করার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা নেয়া
০৯.কিভাবে পেমেন্ট পাবেন এবং নিজ দেশের ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসবেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে হবে।
১০. কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করবেন
জবের মার্কেটপ্লেসগুলোতে লাখো লাখো অভিজ্ঞ ও নতুন ফ্রিল্যান্সারা কাজ করেন।সে জন্য নিজের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করতে মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে হয়।কয়েকটি পরীক্ষায় পাশ করলে আপনাআপনি আপনার প্রোফাইল শতভাগ পূরণ হয়ে যাবে। কাজদাতারাও দেখবেন আপনার রয়েছে যোগ্যতা। যেমন ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, ওয়েব সার্চ বিষয়ক দক্ষতা, ফটোশপ, ইলাসস্ট্রেটর,মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,ইত্যাদির ওপর ৩০মিনিটের অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারেন। প্রতি মিনিটে একটি করে প্রশ্ন ও চারটি সম্ভাব্য উত্তর সামনে আসবে, আপনাকে সঠিক উত্তর টি বাছাই করে ঠিক মার্ক দিতে হবে। একবিষয়ে একবার ফেল করলেও পরবর্তী মাসে সেটি আবার দিতে পারবেন। এ,বি ও সি গ্রেডে ফলাফল দেয়া হয়।
১১. ওয়েবসাইট/ব্লগ তৈরি,অ্যাফিলিয়েট মার্কের্টিং,এসইও সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে হবে। অনলাইনে কাজ করতে গেলে আপনার নিজের একটা অন্তত: ব্লগ থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যা মূল্য অনেক বেশি।
আউটসোর্সিং বাংলাদেশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর, ভারত এর পর অনলাইন ইনকামে বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিকে বাংলাদেশের অবস্থান। শিক্ষার্থী, শিক্ষিত তরুণ তরুণী, যুবক যুবতী, গৃহবধু সবাই কোন না কোন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এ দেশে সাত লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
বাংলাদেশিরা যে কাজগুলো প্রধানত করছে গেুলো হলো:
গ্রাফিক ডিজাইন,ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল/ কনটেন্ট রাইটিং, অ্যানিমেশন, এসইও, এসএমএম, ওয়েব ডিজাইন,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সোম্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও ভিডিও এডিটিং।
এ সবের যে কোন একটা বা দুটি কাজ জানলে আপনি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিড করে কাজ নিতে পারবেন।
ছাত্রদের ইনকাম
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভালই আয় করে চলেছে। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের ছাত্ররা।তারা নতুন নতুন বিষয়ে বিশেষ করে সফটওয়্যার, অ্যাপস, গেম তৈরি করে মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি করছে। নতুন নতুন কাজের অর্ডার নিচ্ছে। অনলাইনে ইনকাম এ আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের আয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই
আজকাল বাজারে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যন্সিং শেখার অনেক রকমের বই পাওয়া যায়। ভিডিও ডিভিডি , ইমেইলেও ভিডিও লিংক কিনতে পাওয়া যায়। পিডিএফ আকারেও বই রয়েছে। ই-বুক রয়েছে অনেকগুলি। বাংলা ভাষায় বইয়ের সংখ্যা কম নয়। এ সব বই পড়ে ও ভিডিও দেখে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যন্সিং শেখা সহজ। কারণ গুগুল নিজেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত। যত রকমের প্রশ্ন করবেন সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন। শুধু গুগলের সার্ভিস ও প্রডাক্ট নিয়ে লেখা পড়া করলে আপনি ৪বছরেও শেষ করতে পারবেন না।
মোবাইলে আউটসোর্সিং
মোবাইলে কিভাবে আউটসোর্সিং করবেন সেটি অনেকের আগ্রহের বিষয়। কারণ সবার হাতে হাতে রয়েছে স্মার্ট ফোন। এই স্মার্ট ফোন দিয়ে অনেকে ছবি তুলে ও ভিডিও করে এবং সব প্রয়োজনীয় এডিট করে। বিশেষত: জেলা উপজেলার সাংবাদিকরা কাজটি করে থাকেন। আজকাল যত ভিডিও নিউজ যায় তার বেশিরভাগই মোবাইলে এডিট করা।
কম্পিউটার, ল্যাপটপে যে সব কাজ করা যায় তার প্রায় অর্ধেক কাজ মোবাইলেও করা যায়। হতে পারে শ্লথগতিতে হয়। বিশ্বে অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি নিয়মিত ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে আয় করতে পারেন।
ভিডিও দেখে আয়:
এটি আজ খুব জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। আপনার স্মার্টফোনকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি স্মার্টফোনে ভিডিও দেখে কিভাবে আয় করবেন সেটার বিষয়ে জানতে পারবেন। তাছাড়া ক্লিক করেও আয় করা যায়।
এ জন্য ভিজিট করুন ——ক্লিক করে আয়
এখানে সরাসরি সব ওয়েবসাইটের তালিকা দেয়া আছে। নিয়ম পড়ে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে এ সব আয় দিয়ে আপনার মাসের খরচ চলবে না। বড়জোড় ইন্টারনেটের খরচ বের করতে পারবেন।
লেখাটি ভাল লাগলে শেয়ার =করবেন আশা করি।
[…] আউটসোর্সিং : কী, কাকে বলে, কিভাবে শুরু ক… […]