আজকে আমার আলোচ্য বিষয় কিভাবে একজন ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে মার্কেটপ্লেস থেকে অনলাইনে আয় করতে পারেন।ফ্রিল্যান্সিং-২০২৩ ভাল করে কিভাবে শিখবো। এ বিষয়টির ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন তৈরির চেষ্টা করবো।
লেখা পড়া করে এক সময় মানুষ ৫/১০বছর বসে থাকতো সরকারি চাকরির আশায়। কিংবা বড় ভাই একটা চাকরি ধরিয়ে দিবেন ততদিন। কিন্ত এখন সে যুগ নেই। সবার হাতে হাতে ফোর জি ফোন,ইন্টারনেট । যখনই যা জানা প্রয়োজন তা নেটে সার্চ দিয়েই খুঁজে বের করে নিচ্ছেন, কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করেন না।নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তালাশি,চাকরির আবেদন করা,পরীক্ষা দেয়া এবং ফলাফল দেখা সব কিছুই নীরবে গোপনে সারতে পারছেন ডিজিটাল যুগে।
তবু জনসংখ্যাধিক্য এ দেশে চাকরির সুযোগ কম। একটি পদের জন্য সহস্রাধিক প্রার্থী ভিড় করেন।
ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা
এক তথ্যে দেখা যায় ৪৭% শিক্ষিত মানুষ বেকার। এ অবস্থায় শিক্ষিত লক্ষ লক্ষ তরুণ ও যুবকরা বিকল্প পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্তপেশা বা অনলাইন প্রফেশন বেছে নিচ্ছেন। তারা এখন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে অনলাইন জব থেকে টাকা আয় করে বিদেশ থেকে বৈদশিক মুদ্রা দেশে নিয়ে আসছেন।
ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। তাই অনেকে মনে করেন কারো অধীনে চাকরি না করে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা গেলে, কেন অন্যের অধীনে চাকরি করব?
বাস্তবে ফ্রিল্যান্সিং অত সহজ না। আরেকজনের পকেট হতে নিজের পকেটে টাকা আনার জন্য যথেষ্ট দক্ষতা ও মেধার পরিচয় দিতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং-২০২৩ গাইড লাইন
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়। আপনার মন চাইলে কাজ করতে পারেন, আবার মন না চাইলে কাজ না করতে পারেন। যেমন: ১৬ডিসেম্বর হতে ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি দেশ ভ্রমণে বের হব। এ সময় কারো কাজের কোন অর্ডার নেব না। -এটা স্বাধীনতা।
মূলত এ কারণে ফ্রিল্যান্সিংকে বেশিভাগ লোক ক্যারিয়ার হিসেবে পছন্দ করেন।
তবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে মার্কেটপ্লেসে যত বেশি সময় ব্যয় করবেন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে তত বেশি আয় করতে পারবেন। সেই সাথে স্বাধীনভাবে কাজ না করে একটি সাধারণ চাকরির চেয়ে বেশি সময় দিলে ক্লায়েন্ট আপনার ওপর খুব খুশি থাকবে।বেশি কাজ দেবেন, প্রয়োজনে বেশি টাকায় করাতে আগ্রহী হবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ?
একজন সেরা ফ্রিল্যান্সারের সফল হবার পেছনে থাকে অনেক কষ্টের কাহিনী। রাতের পর রাত চোখে ঘুম না দিয়ে কম্পিউটার নিয়ে বসে বসে কাজ শেখা, ভিডিও দেখে শেখা,বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সারদের সফল হবার কাহিনী অধ্যয়ন করা, মার্কেট প্লেস সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা, ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখা, বই পড়া,যে কাজ করতে আগ্রহী সে কাজ কাজ গুলো অনুশীলন করা, ধৈর্য ধরে টাকার আশা না করে কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কয়েক বছর সময় দেয়া, এসব থাকে সেরা ফ্রিল্যান্সারের পেছনের কাহিনী।
নতুন ও আগ্রহী ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় ফ্রিল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, আউটসোর্সার ইত্যাদি বিষয়নিয়ে গোলক ধাধায় পড়ে যান। আসলে এ সব বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা ,কোনটি কি, কাকে বলে , জানা না থাকলে অল্প সময়েই নতুনরা ছিটকে পড়েন। সফলতা পান না। কোন বিষয়ে কাজ করতে হলে পড়তে হবে, বুঝতে হবে, না বুঝলে বার বার বুঝার চেষ্টা করতে হবে। অথবা সিনিয়র কারো সহায়তা নিতে হবে।
যিনি- কাজ করে দিলেন –তিনি ফ্রিল্যান্সার( আপনি)- এখানে পেশার নাম হবে ফ্রিল্যান্সিং
যিনি কাজ দিলেন-তিনি হলেন-আউটসোর্সার—নিজের গন্ডির বাইরে গিয়ে-লোক বাছাই করে কাজ করিয়ে নেয়াটা হল আউটসোর্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
এবার আসা যাক ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে নতুন ও আগ্রহীদের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা না জেনে এ কাজে নেমে পড়ে ব্যর্থ হলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারেন! তাই আগে থেকে মানসিক প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।
অনেক তরুণ ও আগ্রহীদের অনুরোধের কারণে আজকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইড লাইন দাড় করানোর চেষ্টা করলাম। আমি চেষ্টা করেছি , প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং আয় করতে ইচ্ছুক একজন নতুন আগ্রহীকে সঠিক পথ দেখানো আমাদের উচিত। আশা করি আমার লেখাটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন তারপর না হয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কাজের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করে দেবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি?
• ফ্রিল্যান্সিং এর প্রধান সুবিধা হলো মন ও সময়ের স্বাধীনতা। মন চাইছে না, এ মাসে আর কাজ করবো না। কাজের নতুন অর্ডার নিলাম না। ছুটি নিতে হয় না, কোন বসকে জবাব দিহি করতে হয় না। বেড়াতে গেলে কেউ বিরক্ত করবে না ।
• সাধারণ মানের চাকরির চেয়ে কয়েকদিনের পরিশ্রমে ঘরে বসে অনেক বেশি টাকা আয় করা যায়।
• ফ্রিল্যান্সিং এ যতখুশি কাজের অর্ডার নেয়া যায়, যত বেশি কাজ তত বেশি টাকা পাওয়া যায়।
• ঘুমের মধ্যেও আয় হতে থাকে। যেমন -আপনার যদি জনপ্রিয় ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে। সেখানে যদি গুগলের বা অ্যাফিলিয়েটস এর কোন বিজ্ঞাপন থাকে সেখান থেকে সর্বদা ইনকাম আসতে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা :
প্রতিটি মানুষের প্রথমে আর্থিক স্ট্যাটাস তৈরি করতে হয়। যার কোন ভাল বা চলনসই আর্থিক স্ট্যাটাস নেই, তার কোন সোশ্যাল স্ট্যাটাসও থাকে না। পরিবারেও থাকে না কোন মূল্য। যার টাকা পয়সা নেই, তার কথার মূল্য কেউ দিতে চায় না।
ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিতে চাইলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাগুলো কি কি হতে পারে তা জেনে রাখা উচিত। ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অল্প সময়ে আয় না পেয়ে হাল ছেড়ে দিলে দেখবেন আমও গেছে ছালাও গেছে। মানে ধার কর্জে আপনি পতিত।দেনায় মানসিক যন্ত্রনা বেড়ে যাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর যে সমস্ত অসুবিধা রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য হলো—
• কাজ পাবার কোন নিশ্চয়তা নেই। এমনও হতে পারে, এক মাসে একটি কাজও পান নি।
• কাজ দাতা বা ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন সুযোগ নেই।
• ইন্টারনেটের শ্লথগতি, সন্ধ্যার পরে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়।
• একা হলে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয় যতক্ষণ না শেষ না হয়।
• ভাষাগত সমস্যা, সঠিক পরামর্শ দেবার মত লোকের অভাব
ফ্রিল্যান্সিং-২০২৩ পেশায় সফল হতে যে গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি
০১. যারা রাতারাতি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেন না।
০২. ধৈর্য্য ধরে কাজ শিখে যেতে হবে।প্রচুর আগ্রহ থাকা
০৩. এক বা একাধিক বিষয়ে কাজের দক্ষতা থাকলে,সে সব বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
০৪. ধৈর্য্যধরে সফল বা যারা কাজ পাচ্ছে তাদের প্রোফাইল, কার্যক্রম ফলো করতে হবে।
০৫. যোগাযোগের জন্য ফোনে কথা বলা, লিখিত যোগাযোগের জন্য ইংরেজি ভাষায় দখল থাকতে হবে।
০৬. অনলাইনে দিবা রাত্র সফলদের ক্যারিয়ারের ইতিহাস পড়ে নিজেকে উজ্জীবিত রাখতে হবে।
•
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো? ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় /যোগ্যতা , বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য ঘরে বসে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
প্রথমে ভিজিট করে দেখবেন আউটসোর্সিং সাইট যেগুলো নিশ্চিত কাজ দিচ্ছে এবং হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার তাদের সাথে যুক্ত।
আউটসোর্সিং সাইটগুলো যেমন –Freelancer.com, Fiverr.com, আপওয়ার্ক ডটকম GURU.com,99 Designs.com People PerHour,
আরো নির্ভরযোগ্য সাইট সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্লিক করুন – Work from home jobs in 30 real websites:
দেখুন আপওয়ার্কে কি কি বিষয়ে কাজ পেতে পারেন——এ সব প্রধান ক্যাটাগরি—
ফ্রিল্যান্সার ডট কমে ১৮০০ রকমের কাজ পাওয়া যায়
সাইটগুলো ভিজিট করলে আপনার চোখ খুলে যাবে। বাড়বে জ্ঞানের পরিধি। সাইটগুলোতে দেখুন, এ মুহুর্তে বিশ্বব্যাপি কি কি কাজের চাহিদা রয়েছে, আপনার দক্ষতা রয়েছে সেগুলোর চাহিদা কেমন।
লক্ষ্য করুন- ফ্রিল্যান্সিং কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে এমন কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল, পোর্টফলিও,দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা জেনে নিন। তাদের প্রোফাইল ভিজিট করলে সব দেখতে পাবেন। তাদের ঘন্টায় রেট কত। কে কত ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করেছে।
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন কোন কাজটি করতে পারবেন, বা কি কি শিখতে হবে কাজ পেতে হলে।দক্ষতা ছাড়া বিশ্বব্যাপি প্রতিযোগিতার এ ক্ষেত্রে কাজ পাওয়া অনেক দুস্কর।
মনে করুন- আপনি টুকটাক কাজ জানেন-ফটোশপ, ইলাসষ্ট্রের, এসইও, ফেসবুক মার্কেটিং, কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৩
আপনার বয়স, শারীরিক মানসিক ও পারিবারিক অবস্থা বিচেনায় আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন কাজ ১/২/৩টি টানা ভালভাবে শিখা দরকার, যেটি আপনি দক্ষতার সাথে করতে পারবেন। আজই শিখতে শুরু করুন। যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেটির খুটিনাটি সব বিষয়ে ১০০% দখল থাকে যেন সেভাবে শিখবেন। তাহলে আপনি আজ হোক বা কাল হোক কাজ পাবেনই। যতই সময় লাগুক কাজটি পরিপূর্ণভাবে শিখে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা অর্জন করুন।তাহলে পেয়ে যাবেন অনলাইনে ইনকাম করার উপায়।
যদি মনে করেন যে, কাজ শেকার জন্য আপনার সময় নেই, মাসের পর মাস দিতে পারবেন না, তাহলে ফ্রিল্যান্সার হবার স্বপ্ন বাদ দিন। অযথা সময় ও অর্থ নষ্ট করবেন না। রাতারাতি কাজ শিখে লাখ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য না। প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা বা অনলাইনে আয় করা যায় না। আউটসোর্সিংয়ে কাজ পেতে হলে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দুটোই দরকার।
অনলাইনে ইনকাম করতে হলে প্রচণ্ড ধৈর্য্য ধরে সময় ও দক্ষতা অর্জনে ব্যয় করতে হবে। কর্মক্ষমতাই আপনাকে আয় করার পথ খুলে দেবে। আশা করি পাঠক বুঝতে পারছেন –ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করলে ভাল হয় এবং অবশ্যই সফল হওয়া যাবে। স্মরণ রাখা উচিত যে, মার্কেট প্লেসে কাজের চাহিদা নেই এমন কোন বিষয় নিয়ে দক্ষতা অর্জন করলেও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অর্থাৎ আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে কোন কাজ পাবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি শিখবো? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বো?
কোথায় কাজ করলে, কী কাজ করলে অনলাইনে আয় করা সম্ভব।
এ সব প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত পেয়ে গেছেন। আশা করি, সে সাথে নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতেও অভিজ্ঞতা হলো আপনার।
ক)১। নিজের লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে,
খ) কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন?
গ) কোন কোন কাজের সবচেয়ে বেশি
ঘ) কোন কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং-২০২৩ আয় করার জন্য কি কি শিখবো?
এ বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করতে চাই, কারণ অনেক আগ্রহী ব্যক্তি এমন প্রশ্ন করে থাকেন। সবার আগ্রহ আছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার, কিন্ত দ্বন্দ্বে পড়ে যান কি শিখবেন ,কোথায় শিখবেন তা নিয়ে। আবার সব বয়সে সবাই সব কিছু শিখতে পারেন না।
যদি কোন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ মনে করেন, তাহলে সে বিষয়ে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করে আরো বেশি দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন। কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য এক বা একাধিক বিষয় যাচাই বাছাই করে সেসব বিষয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারবেন।
কোর্স করা দরকার পড়ে না। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন একটি বিষয়ে আপনার দক্ষতা প্রয়োজন হয়। কোন একটি বিষয়ে নিজেকে আপনি দক্ষ মনে করলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে নিজে নিজে কাজ করতে পারবেন।
বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব থেকে সহজে আপনি শিখতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং জব সাইটগুলোতে কিভাবে একাউন্ট করতে হয়, কিভাবে পোর্টফোলিও সাজাতে হয়, কিভাবে ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন করতে হয় ও কিভাবে জব আবেদন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার আগে যা জানা প্রয়োজন
উপরের আলোচনায় আপনি ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছেন কী কী শিখলে আপনি মোটামুটি আয় করতে পারবেন। উপরের কয়েকটি চিত্রে কোন কোন কাজের চাহিদা বিশ্বব্যাপি বেশি তার একটি খন্ডচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।স্বাধীনভাবে কাজ করার লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে আপনাকে আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে চাহিদা আছে এমন যেকোন কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আমি আগেই বলেছি, কী বিষয় শিখবেন, তা নির্বাচন করুন, আপনার শরীর স্বাস্থ্য, সময়, বয়স, ইচ্ছা, ধৈর্য্য শক্তি ইত্যাদি বিবেচনা করে। আপনার বয়স যদি ৫০এর বেশি হয় আমি আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে কাজ শিখতে বারণ করবো। কারণ সেখানে আপনার ধৈর্য্য শক্তির অভাব দেখা দেবে।চোখের সমস্যা হবে। আবার আপনি যদি ভাল ইংরেজি না বুঝেন তাহলে আপনি ভাল আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখক হতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে এসইও শেখার পরামর্শ দেব।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেছে নিতে নিচের একটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন-
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
• যে কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে,আপনি নিশ্চিত যে কাজ সুন্দরভাবে পারফেক্টলি করতে পারবেন তা দিয়ে শুরু করুন।সহজকাজে হাত দিন যেমন:
• কনটেন্ট লেখা, ডেটা এন্ট্রি করা,কপি রাইট, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ওয়েব সার্চ,এডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট,লোগো ডিজাইন।
অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়
০১. ওয়েব ডিজাইন- প্রতিদিন সারাবিশ্বে লক্ষাধিক নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হয়,সেখানে প্রতিদিন নানা কাজ বা পরিবর্তন করতে হয়। তাই দিন দিন বাড়ছে এই কাজের প্রয়োজনীয়তা।
০২.ওয়েব ডেভেলপমেন্ট—১ এর অনুরুপ চাহিদা
১ এবং ২ কাজটি জানলে —ব্লগ বানিয়ে অনলাইনে আয় করবেন যেভাবে
০৩. গ্রাফিক্স—১,২ নাম্বার কাজের জন্য ছাড়াও প্রতিদিন মানুষ কতকিছু ছাপে, অনলাইনে ডিজাইন করে, গ্রাফিক্স জানলে কাজের অভাব হবে না।
০৪.ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কের্টিং- ঘরে বসে কনটেন্ট লিখে জনপ্রিয় ব্লগ বানান আর বিক্রি করুন। ব্লগে বিজ্ঞাপন বসিয়েও আয় করতে পারেন প্রচুর।
০৫. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(এসইও) এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(এসএমএম)
আরো পড়ুন–গুগল ও ফেসবুক থেকে আয় করুন নানা উপায়ে
০৬. ওয়ার্ডপ্রেস
০৭. ইউটিউব মার্কেটিং
০৮. সিপিএ মার্কেটিং(CPA = Cost Per Action Marketing)
০৯. আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং
( মনে রাখবেন কনটেন্ট হলো ওয়েবসাইটের কিং, কনটেন্ট ভাল না হলে ভিজিটর থাকে না)
১০. ইমেইল মার্কেটিং(Email Marketing)
১১. ভিডিও এডিটিং এন্ড এ্যানিমেশনঃ বর্তমান সময়ে এ বিষয়ে যথেষ্ট কাজের চাহিদা রয়েছে সারা বিশ্বে।আয়ও বেশি।
১২. অ্যাপস তৈরি
মনে রাখুন যেন তেন বিষয়ে কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলে খুব বেশি অনলাইনে আয় করতে পারবেন না।উপরের বিষয়গুলোর মধ্যে বাছাই করে ১/২টি শিখুন অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করে আয় পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইংরেজি পড়তে জানতে হবে। লিখতে জানতে হবে। মধ্যমানের হলেও চলে। কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। ৮ম /১০ম শ্রেণী/ ইন্টার বা গ্রাজ্যুয়েট পাশ হতে হবে সে রকম ধরাবাধা নিয়ম নেই।
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কিভাবে একাউন্ট খুলবো
Upwork, Freelancer.com, Fiverr.com, GURU.com, People PerHour
উপরের যেকোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একাউন্ট করার জন্য আপনার একটি ইমেইল ঠিকানার দরকার হবে। প্রথমে আপনার একটি প্রোফাইল বানাতে হবে। তারপর আপনার প্রোফাইলটি ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে হবে।ধীরে ধীরে এ কাজটি করুন। আপনি যে সব বিষয়ে ভাল দক্ষ, কি কি কাজ করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে, তাই উল্লেখ করুন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ঠিকানা, আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতি ও ছবি দিয়ে একটি সম্পূর্ণ প্রোফাইল বানাবেন।
বুঝতে কোন অসুবিধে হলে অন্যদের প্রোফাইল দেখে নিতে ভুল করবেন না। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে লিখুন, কারো জন্য কোন ব্লগ বা সাইট বানিয়ে থাকলে লিংক দিন সেখানে(পোর্টফলিওতে)।
ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আয়। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়।
এটি একটি জঠিল প্রশ্ন। যারা শুধু ব্লগিং করে, মানে নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে লিখে,তারা নানাভাবে আয় করতে পারে। ব্লগে গুগলের বিজ্ঞাপন দিয়ে, ব্লগে রিভিউ লিখে কারো পণ্য বিক্রি করে অনলাইনে আয় করে ফ্রিল্যান্সাররা। যেমন ১০বছরের পুরানো একটি জনপ্রিয় ব্লগের আয় মাসে একলক্ষ ডলার। অন্যদিকে যে ব্লগে কোন মূল্যবান কনটেন্ট নেই, ভিজিটর নেই,গুগলও বিজ্ঞাপন দেয় না, সে ব্লগের মালিক ফ্রিল্যান্সারের আয় কেমন হবে আপনিই বলে দিন। যারা হাতের কাজ জানে তাদের আয়ের জন্য ভাবতে হয় না। যেকোন কাজে প্রথম প্রথম আয় কম হয়। ধীরে ধীরে কাজ বাড়তে থাকলে সময় দিতে থাকলে আয়ও বাড়তে থাকবে।
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ
রাস্তাঘাটে ব্যাঙ এর ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে যাবার আগে যাচাই বাছাই করে নেবেন। নামকরা বড় প্রতিষ্ঠান বেটার। কারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, সাপোর্ট কেমন দেবে, যারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তাদের প্রোফাইল আয় উন্নতি দেখা জরুরি। না হলে প্রশিক্ষণ ব্যয় অপচয় হতে পারে।
কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করবেন?
অনলাইনে শতাধিক ফ্রিল্যান্সিং জব সাইট রয়েছে। সে সবে লাখো লাখো ফ্রিল্যান্সার প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। হাজার হাজার ক্লায়েন্ট কাজ দিচ্ছেন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং জব সাইটগুলোতে কাজ করা শ্রেয়। কারন সেখানে বেশি ক্লায়েন্ট থাকে বিধায় অধিক পরিমানে কাজ পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিং জব সাইটগুলোতে দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করতে পারলে খুব অল্পদিনে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে আয় বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং করতে ইংরেজি জানা কতটুকু দরকার
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য ইংরেজি জানার বিকল্প নেই।যারা অনলাইনে কাজ দেন তাদের ৯৯.৯% বিদেশি। শতভাগও বলতে পারেন। তাই ইংরেজি ছাড়া অন্যভাষায় যোগাযোগ(চ্যাট) চালানোর উপায় নেই।
কিছু হাতের কাজ আছে যেগুলো করতে খুব বেশি ইংরেজি জানতে হবে বলে কথা নেই।গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এন্ড এনিমেশন বিষয়ে অল্পস্বল্প চ্যাট করতে হয়। কেবল বায়ারের বা ক্লায়েন্টের চাহিদা বা অর্ডারটি বুঝতে পারলে কাজ করা যায়।
ভুল ধারণাঃ
• ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং একসপ্তাহ/২ সপ্তাহে শেখা যায়!
• ৫ হাজার টাকা দিয়ে ২ মাস কোর্স করলেই হাজার টাকা আয় করা যায়!
• ট্রেইনিং সেন্টারে গেলেই সফল হওয়া যায়! আয়তো হবেই
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কি কি করতে হবে
আপনি যে কাজ সম্পর্কে দক্ষ, সহজে করতে পারবেন তেমন কাজের সংখ্যা যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে রয়েছে সেখানে একাউন্ট করুন। তারপর সেই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে এ টু জেড ভালভাবে জেনে নিন। প্রত্যেকটা জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস এ নিজের প্রোফাইল তৈরি করে নিন। প্রোফাইলে নিজের দক্ষতা যুক্ত করুন।প্রোফাইল শতভাগ পূরণ করার জন্য কি কি করা দরকার তাই করার জন্য প্রস্তুতি নিন।
আপনার দক্ষতাকে সার্টিফাইড করার জন্য অনলাইনে সে বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিন।পাশের জন্য যা যা করা দরকার সেভাবে প্রস্তুতি নিন।পাশ করলে রেজাল্ট আপনাআপনি প্রোফাইলে যুক্ত হয়ে যাবে।
কভার লেটার লিখবেন যেভাবে
কোনও কভার লেটার হ’ল আপনার প্রথম এবং সম্ভবত সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট বা নিয়োগকর্তাকে প্রভাবিত করার সুযোগ। একটি কভার লেটার আসলে আপনার ব্যক্তিত্ব,অভিজ্ঞতা, দক্ষতাকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ।
• একটি উষ্ণ এবং পেশাদার শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করুন। “প্রিয় হায়ারিং ম্যানেজার- লেখা আমার সেরা পছন্দ।
• নিয়োগকর্তাকে আপনি তাদের সাথে কেন যোগাযোগ করছেন, আপনার কী দক্ষতা রয়েছে যা আপনাকে এই অবস্থানের জন্য সঠিক ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তোলে এবং যেখানে তারা আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারে তা জানতে দিন:
• লিখুন এই ভাবে- আমি নয় বছর ধরে পেশাদার লেখক, এবং ওয়ার্ডপ্রেস এবং টাইপপ্যাডের সাথে খুব পরিচিত। বেইনিংগ্রেস্ট-এর চিফ-এ-চিফ হিসাবে আমার ৩ বছরের সময় আমি লেখকদের একটি দল পরিচালনা করেছিলাম যারা সপ্তাহে ৫ টি ব্লগ পোস্ট তৈরি করে। আপনি আমার নিজস্ব কিছু লেখা আমার পোর্টফোলিও দেখতে পারেন (www.outsourcingway.com/users/~~…)
•হাইলাইটগুলি হিট করুন।
বেশিরভাগ কাজের পোস্টিং আপনাকে পছন্দসই প্রার্থীর কী ধরনের দক্ষতার বিষয়ে খুব পরিষ্কার ইঙ্গিত দেবে। আপনার যদি এই দক্ষতা থাকে তবে আপনার সেগুলি উল্লেখ করা উচিত – ভূমিকার জন্য নিয়োগকর্তার প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করা এবং আপনি কীভাবে এই মানদণ্ড পূরণ করেন তা পরিষ্কার করে দেবে যে আপনি এই কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি: “আপনি উল্লেখ করেছিলেন যে আপনি কোনও ব্যক্তির সন্ধান করছেন সৃজনশীল লেখা এবং সাংবাদিকতায় পটভূমি। আমি উভয়ই কলেজে পড়াশোনা করেছি, যেখানে ইংরেজি আমার মেজর সাবজেক্ট ছিল। আমি স্থানীয় গবেষণাপত্রে সহকারী সম্পাদক হিসাবে আমার কর্মজীবন শুরু করি, যেখানে আমি অনুসন্ধানি সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করেছি। ”
•সরাসরি কাজের কথা কভার লেটারে লিখলে ক্লায়েন্ট খুশি হয়। জব পোস্টের ক্লায়েন্ট কি কোন প্রশ্ন করেছেন কিনা, সে গুলো কভার লেটারে উল্লেখ করবেন। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে ক্লায়েন্টেকে জানান,কিভাবে কাজটি করতে চান,কত দিনে তা উল্লেখ করুন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট, মার্কেট প্লেস লিস্ট,তালিকা
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমার এই আর্টিকেল..অনলাইন ইনকামের ১০০ ফ্রিল্যান্স জব সাইট
লিংকে দেয়া টপলেভেল মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্স জব সাইটগুলোতে কাজ পেতে বিড করা চালিয়ে যান।কাজ না পেলে প্রোফাইল ও পোর্টফলিও রিরাইট করে নেয়া উচিত।কাজদাতাকে সব সময় দ্রুত সংক্ষিপ্ত আকারে মেসেজ দেবেন ও যখন যা জানতে চায় তার উত্তর দেবেন। কাজদাতার সাথে ঘন ঘন যোগাযোগ দুজনের সম্পর্ক উন্নত করবে, ঘনিষ্ট হবেন পরস্পর।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দু ভাবে বিডিং এ অংশ নেন ফ্রিল্যান্সাররা:
• নির্ধারিত ফি /প্রজেক্ট ফি : এমপ্লয়ার/কাজদাতা একটি প্রজেক্ট মার্কেটপ্লেসে দিয়ে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে বিড আমন্ত্রণ চান। বলেদেন কাজটির জন্য তার বাজেট কত, সময় কত দিন
এ ক্ষেত্রে আপনি পুরো প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে কত পারিশ্রমিক নেবেন তা নিয়ে বিডিং করতে পারেন। বাজেটের বরাদ্দের বেশি চাইলে কাজটি নাও পেতে পারেন।
• কর্ম ঘন্টা রেট : এই পদ্ধতিতে আপনি কোনো একটি প্রজেক্টের জন্য কাজ করতে প্রতি ঘন্টায় কত পারিশ্রমিক নেবেন, তা নিয়ে বিড করতে পারেন।
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজ যেভাবে হয়
কোন কোম্পানী বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি (Employer) তার কোনো কাজ আউটসোর্সিং ভিত্তিতে অর্থাৎ বাইরের লোক দ্বারা করতে ইচ্ছুক হন,সে ক্ষেত্রে তিনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নিজেকে তালিকা ভুক্ত করে, ভেরিফাইড ক্লাইয়েন্ট হিসেবে পরিকল্পিত কাজটির জন্য ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে বিড চান। কাজটির জন্য তিনি কতটাকা,কত দিন সময় বরাদ্ধ রেখেছেন তাও বলা থাকে। বা জরুরি হলে ঘন্টা হিসেবেও কাজটি করিয়ে নিতে পারেন।
একজন ফ্রিল্যান্সার কত দিন/ ঘন্টার মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারবেন, কতটাকা পারিশ্রমিক চান তা উল্লেক করে বিড করেন। এ রকম শত শত ফ্রিল্যান্সারের বিড পর্যালোচনা করে সবচেয়ে যোগ্য এবং কমরেটের বিডকারীকে কাজদাতা নির্বাচন করেন। এরপর সেই ফ্রিল্যান্সারের সাথে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন কাজের বিষয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং টাকা উত্তোলন, অনলাইন থেকে উপার্জিত টাকা যেভাবে হাতে পাবেন, ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং জব সাইট বা মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পর অর্জিত ডলার তুলে আনার বিষয় নিয়ে অনেকে খুব চিন্তায় থাকেন।বিশেষ করে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা। কিন্ত বর্তমানে সেটি কোন দু:চিন্তার বিষয় নয়। আগে কাজ করতে থাকুন টাকা আনতে পারবেন যে কোন উপায়ে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে জব সাইটে ক্লায়েন্টের জমা দেয়া অর্জিত টাকা নানা উপায়ে দেশের ব্যাংকে জমা করা যায়। যে মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং জব সাইট এ কাজ করেছেন, সেখান থেকেই বিভিন্ন উপায়ে টাকা দেশের ব্যাংক একাউন্টে আনা যায়। সরাসরি আমাদের স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট এবং ওয়্যার ট্রান্সফার( Bank-to-Bank Wire Transfer ব্যাংক টু ব্যাংক মেসেজ) ব্যবহার করতে পারেন।
নিজের দেশের একাউন্টে টাকা স্থানান্তর হবে যেভাবে
দেশে টাকা আনার সময় সব সময় খেয়াল রাখবেন ডলার ট্রান্সফার ফি কত? যদি ১ হাজার ডলারের বেশি হয়, তাহলে ওয়্যার ট্রান্সফার হবে সবচেয়ে ভালো অপশন।
ওয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতি যোগ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের উইথড্রয়াল মেথড থেকে ওয়্যার ট্রান্সফার সিলেক্ট করে সেখানে আপনার ব্যাংকের পূর্ণ তথ্য দিতে হবে। এখানে প্রয়োজন হবে ব্যাংকের সুইফট কোড, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্যাংকের শাখার পূর্ণ ঠিকানা। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনার নাম ও ব্যাংকে আপনার নাম একই হতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার ব্যাংকে টাকা জমা হয়ে যাবে।
•চেকের মাধ্যমে টাকা পাওয়া : ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল তার বিজ্ঞাপন বিভাগ এডসেন্স, ইয়াহু ও অন্যান্য ফ্রিল্যান্স সাইট চেক পাঠায় ডাকযোগে। এ সব চেক বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যাংকে জমা দিলে টাকা চলে আসে।
•আপনার পেপ্যাল একাউন্ট থাকলে সেখান হতে সহজে আপনার ব্যাংকে টাকা জমা করতে পারবেন।
•
•পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড : ফ্রিল্যান্সারা এটাকে খুব ভাল মনে করেন। এক রকম ডেবিট কার্ড। তবে কার্ডটি কিনতে হয়। এই কার্ড দিয়ে যেকোন সময়ে আপনার মার্কেটপ্লেসে জমে থাকা ডলার তুলতে পারবেন। এই কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটাও করা যায়।
•এলার্টপের মাধ্যমে টাকা পাওয়া : এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। আপনি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারেন।
• বাংলাদেশের ব্যাংকের কোন ভিসা ডেবিট কার্ড থাকলে সেখানেও টাকা আনা যায়।
ট্রান্সপে-বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের সেবা দিচ্ছে ২০১২ সাল থেকে। খরচ কম ও সহজে এর মাধ্যমে টাকা আপনার স্থানীয় ব্যাংকে আনতে পারবেন।
মোট কথা হলো মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং জব সাইটগুলো হতে দেশে টাকা কিভাবে পেতে পারি সেটি এখন আর দু:চিন্তার বিষয় নয়।
একটি বা দুটি কাজ শিখুন, চর্চা করুন বেশি
আশা করি বন্ধুরা উপরোক্ত আলোচনার পর খুঁটিনাটি,ছোটখাট অনেক প্রশ্নের উত্তর ইতোমধ্যে পেয়ে গেছ যেমন:
০০. ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কি কি
০০.ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আয় কত?
০০.অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
০০.বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়
০০. ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যত কি
০০. ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম কি
০০. ফ্রিল্যান্সিং বই ডাউন লোড করা যায় কি না
০০. জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট কি কি
০০. মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
০০. অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং
০০. ফ্রিল্যান্সিং জব
০০. ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি
০০. ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি আয় করা যায়—ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপার বিষয়ে এক্সপার্ট হোন
০০. বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং
০০. ফ্রিল্যান্সিং-২০২২ টিপস দেন
একটি বা দুটি কাজ শিখুন, চর্চা করুন বেশি বেশি। শেখা কাজের ওপর কাজ করে আয় করার চেষ্ঠা করুন। এই কাজে কাজ না পেলে অন্য কাজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করবেন না। হতাশ হবেন না। একার চেষ্ঠায় কাজ না পেলে কারো সাথে গ্রুপ করে কাজ নিয়ে কাজ করুন। দেখবেন অনলাইনে আয় হবেই। আশা করি
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহনিয়ে দারুন এক আইডিয়া পেয়ে গেছেন।
আশা করি নতুন কোন প্রশ্ন থাকলে জানাবে। এই গাইড লাইনটি ভাল লাগলে নতুনদের শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। আপডেটেড(০১/০৮/২০২৩)
printxpats.com print in Bangladesh