মাত্র ৭দিনে দ্রুত কিভাবে লাভজনক একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগসাইট বানাবেন তার একটি সঠিক নির্দেশনা বা গাইড লাইন নিয়ে অনলাইন ইনকাম এর পদ্ধতি নিয়ে আজ আমি আলোচনা করবো। তবে ৩০-৫০হাজার টাকা আয় করার জন্য ব্লগটি মনেটাইজ করতে আরো ৭সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। বিশ্ব ব্যাপি কোভিড-১৯ রোগের বৃদ্ধি ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গুগলের মত ইন্টারনেট জায়ান্টদেরও নানা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তারা বিজ্ঞাপন অনুমোদন দিতে ১/২মাস সময় নিচ্ছে তার ওপর নানা নতুন নিয়ম কানুন। ব্লগ, ব্লগিং ও ব্লগার শব্দগুলো একে অপরের পরিপূরক।
৭+ দিনে ব্লগসাইট বানাবেন যেভাবে, নিচে ব্লগ সাইট তৈরির সম্পূর্ণ টিউটোরিয়াল তুলে ধরা হলো:
দিন ১
প্রথমে আপনাকে একটি লক্ষ্য স্থির করতে যে, কেন এবং কি বিষয়ে ,কোন লক্ষ্য নিয়ে আপনি ব্লগটি তৈরি করতে যাচ্ছেন।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে বিষয় নিয়ে আপনি ব্লগ বানাতে যাচ্ছেন, সে বিষয়টি আপনার কাছে পানিরমত স্বচ্ছ না হলে আপনি লিখবেন কিভাবে। তাই বিষয়টি নিয়ে আগেভাগে প্রচুর স্টাডি করে নিন।
ব্লগ তৈরির টিউটোরিয়াল:
লিখে ফেলুন প্রথম ১মাস, ৩মাস এবং ৬মাসের লক্ষ্যে কি কি থাকছে ব্লগ নিয়ে। এই ব্লগ নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনায় থাকতে হবে এ টু জেড সব কিছু।
এর মধ্যে থাকতে হবে ব্লগ লঞ্চ করার সম্ভাব্য সময়,লিখতে হবে আড়াইহাজারের বেশি শব্দ দিয়ে কমপক্ষে ১০টি ইউনিক পোস্ট(কপি পেস্ট চলবে না)।প্রতিটি পোস্টের জন্য ৩টি করে ৩০টি ইমেজ বা ছবি রেডি থাকতে হবে।সেই সাথে ৫০টি ব্যাক লিংক,প্রতিটি পোস্ট যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫০০-১০০০বার যেন শেয়ার হয় সে পরিকল্পনা অর্ন্তভূক্ত থাকবে।
মনে রাখবেন,আপনার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনাই হবে অনলাইন ইনকাম এর বৃহত্তর সফলতা অর্জনের চাবিকাঠি।
তাহলে চলুন , ব্লগিং শুরু করি মনের ভেতর থেকে।এই পরিকল্পনামতই এগোতে হবে। কোন ছাড় দেয়া চলবে না।
কিভাবে ব্লগ ডিজাইন করা যায়, ব্লগ কি, কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুন : ব্লগ, ব্লগিং, ব্লগার কি : ব্লগ থেকে আয়
সিদ্ধান্ত নিন করুন কি বিষয়(যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ, প্রচুর আগ্রহ আপনার) নিয়ে লিখবেন।ব্লগের নামও হতে হবে আপনার পছন্দের বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ।
বিষয়/ নিসটি যদি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল ফল দেয় এবং ব্লক মনেটাইজ করা সহজ হবে।
সবচেয়ে যেটি জরুরি সেটি হল আপনার নিসটির মার্কের্ট চাহিদা কেমন, ভিজিটররা কি উঁচু মানের গ্রাহক ? যচাই করে নিন।
আপনি কী ওয়ার্ড রিচার্স করে এ সব বিষয় চূড়ান্ত করে নিন।
কোথায় কী ওয়ার্ড রিচার্স করবেন?
০১. গুগল কী ওয়ার্ড প্ল্যানার
০২. সেমরাস( SEMRush)
০৩. এমওজেড(Moz)
০৪. Keywordtool.Io
০৫. Seobility.net
আপনি যে নিসটি নিয়ে কাজ করবেন সেটি নিয়ে রিচার্স শুরু করে দিন।বের করে নিন কী ওয়ার্ডগুলো , সেই সাথে দেখে নিন আপনার প্রতিযোগি কারা।তৈরি করে নিন ৪০/৫০টি কী ওয়ার্ডের একটি তালিকা। কারা এই কী নিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র্যাংকিংয়ে রয়েছে নোট নিন। সেসব সাইটের তালিকা করে তাদের ডোমেইন অথরিটি(ডিএ) চেক করুন। যে সব ব্লগ এর ডিএ ভাল সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে দেখায়।
মনে রাখবেন যে, আপনার নিসের কীওয়ার্ডগুলোর হাই সার্চ ভলিউম( কেউ আপনার কী ওয়ার্ড সার্চ দিলে যাতে গুগলের প্রথম পাতায় দেখায়) এবং প্রতিযোগিতার লেভেল থাকতে হবে ০.৩ এর নিচে। অনলাইন ইনকাম করতে হলে নিজেকে অর্থাৎ আপনার সাইটকে একটি ব্রান্ড হিসেবে পরিচিতি করে তুলতে হবে।
ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি
ব্লগ একাউন্ট কিভাবে খুলবো
গুগল ছাড়াও অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে বিনা পয়সায় আপনি সাবডোমেইন দিয়ে ফ্রি ব্লগ বানাতে পারেন।
যেমন: গুগলের ব্লগ সার্ভিস প্রোভাইডার হলো blogger.com. একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলেই আপনি সেখানে ফ্রিতে ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগের নাম হবে,https://apni.blogger.com .এখানে সবকিছু রেডি করা শুধু লোগো বসানো, কয়েকটি ছবি সেট করা এবং পোস্ট দেয়া।
আপনার ডোমেন নামটি আকর্ষণীয়, সংক্ষিপ্ত, আপনার মূল কী ওয়ার্ডের সাথে খাপ খায় এবং এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিশ্চিত করুন। সে জন্য একজন নিস এক্সপার্টের মতামত নিতে পারেন।
একটি সুন্দর ব্লগ ও ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা খরচ
আপনি ভাল যে কোম্পানী থেকেই অনলাইন ইনকাম করার জন্য ব্লগ তৈরি করতে ডোমেইন, হোস্টিং, এসএসএল, থিম কিনুন না কেন, থিমের সব সুবিধাদি যাচাই করে নেবেন। যেমন সাইট স্পিড,পেজ লোড স্পিড,লিড জেনারেশন সুবিধা।পেইড থিম ফ্রি দিচ্ছে কি না তাও জেনে নেবেন। আমি ফ্রি থিম ব্যবহার করে অনেক সময় নষ্ট করেছি। লাইসেন্সযুক্ত সুন্দর থিম ৫০০/১০০০টাকায়ও কেনা যায়।তাই আমি ফ্রি থিম ব্যবহারের পরামর্শ দেই না কাউকে যদি না আপনার আর্থিক সংকট থাকে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্লগার ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করেন কারণ এটি ব্যবহার করা সহজ। খুব সহজে ব্লগার এটির ব্যবহার নিজের আয়ত্বে নিতে পারেন। এসএসএল দিলে বুঝবেন আপনার ডোমেইনের শুরুতে https://sitename.com থাকবে।যেমন: https://outsourcingway.com.
এটা কেন, সুবিধা কি তা আগেই আলোচনা করেছি।
দিন ২
পরিকল্পনা করুন আপনার প্রতিটি পোস্টের জন্য সাইট ম্যাপ দেয়া যায় কি না। আপনার ব্লগে কিছু কী পাতা থাকতে হবে, যেগুলোতে ভিজিটর ক্লিক দিয়ে পড়তে পারেন। হোম, শুরু করুন এখান থেকে,ব্লগ সম্পকীয় তথ্য/ এবাউট, কন্ট্রাক্ট,টার্ম অব ইউজেস, প্রাইভেসি পলিসি ও বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক পাতা থাকতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে Yoast SEO প্লাগিন না থাকলে সেটি ইনস্ট্রল করে নিন। আপনার ব্লগে সাইট ম্যাপ, কীওয়ার্ড সেট, সোশ্যাল মিডিয়া লিংক বসানো,সার্চ কনসোল কোড, গুগল ট্যাগ সেট করা একদম সহজ হবে।
এবার আপনার কীওয়ার্ডগুলো দিয়ে প্রথমে ১০টি ইউনিক পোস্ট পাবলিশ না দিয়ে সাইটে ড্রাফট হিসেবে রাখুন।আপনার পছন্দের কীওয়ার্ড ব্যবহার থাকতে হবে সে সব পোস্টে।
যে সব কী ওয়ার্ড এর রয়েছে অধিক প্রতিযোগিতা সে সব এড়িয়ে মোটামুটি প্রথম পাতায় সার্চ রেজাল্ট আসে, একটু নিচের দিকে তেমন কী ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন। ইনশআল্লাহ, আপনার পোস্টের সার্চ রেজাল্টও প্রথম পাতায় দেখাবে গুগল/ ইয়াহু ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন।
পোস্টের হেডলাইনে কী ওয়ার্ড, ইউআরএল এ এবং পোস্টে কমপক্ষে ৪/৫ বার ব্যবহার করতে হবে।একই কী ওয়ার্ড কিন্ত। যেমন আমি এই লেখায় ব্যবহার করছি ‘অনলাইন ইনকাম’।
দিন ৩
ব্লগ সাইটে প্রয়োজনীয় প্লাগিনস( WordPress plugins) ইনস্ট্রল করে নিন। Install Your WordPress PluginsProperly choosing your যেগুলো সাইটের স্পীড, এসইও,ডিজাইন, লিড জেনারেশন করে।একইকাজের কোন প্লাগিনস দুবার নেবেন না।সাইট স্পিড স্লো হয়ে যাবে।
আমি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ চালু করার শুরুতে আপনাকে কিছু প্লাগিনস নিতে সুপারিশ করতে চাই। যে গুলো হলো:
সেরা ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনস
০১. Yoast SEO – সেরা এসইও প্লাগিনস
০২. মনস্টার ইনসাইটস-গুগল অ্যানালাইটিক্স কোড বসাতে সহায়তা করে।
০৩. অপটিমনস্টার(OptinMonster)
০৪. অটোঅপটিমাইজ(Autoptimize)
০৫. ইজি টেবল অব কন্টেন্টস( Easy Table of Contents)
০৬. ব্রোকেন লিংক চেকার
০৭. ইলিমেন্টর(Elementor) – এটি ল্যান্ডিং পেইজ তৈরিতে সহায়ক
০৮. মাসশেয়ার শেয়ারবাটন(Mashshare Share Buttons)
০৯. শর্টপিক্সল(ShortPixel)- এটি ছবির সাইজ ঠিক রাখে
১০. কুইক পেজ/পোস্ট রিডাইরেক্ট(Quick Page/Post Redirect)
১১. পোস্ট ভিউ কাউন্টার(Post view Counter)
১২. ক্লাসিক এডিটর
১৩. WP touch mobile plugin
১৪. W3 total cache
১৫. Yarrp
গুগল সার্চ কনসোল
গুগল সার্চ কনসোল সেটআপ করে নিন। এটি আপনার ব্লগ সাইটকে নিয়মিত মনিটরিং করে র্যাংকিং বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি মানুষ আপনার কী ওয়ার্ড নিয়ে সার্চ দিলে, ফলাফলে যাতে আপনার সাইট উপরের দিকে দেখা যায় সে জন্য প্রক্রিয়া সম্পাদন করবে।
Yoast SEOতে সাইটম্যাপ অটো করা থাকে। ইচ্ছে করলে আপনি আলাদা সাইটম্যাপ বানাতে পারেন ফ্রিতে।
গুগলকে আপনি একটি মাধ্যমেই সাইটের মালিক হিসেবে প্রমাণ দিলেই হবে।
আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গুগলের Analytics/সার্চ কনসোল/ জি ট্যাগ এর যে কোন একটির কোড বসালে হবে। একাধিক বসাতে হয় না। আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট দিয়ে Analytics/সার্চ কনসোল/ জি ট্যাগ এ একাউন্ট করবেন।
Google Analytics কোড বসানোর জন্য MonsterInsights plugin যথেষ্ট।
দিন ৪
ক) ব্লগ ডিজাইনের কাজ, সাইটের পেইজ সাজানোর কাজগুলো করে নিন।লোগো, কালার,মেন্যু, উইগেট সাজিয়ে নিন। ক্যাটাগরি ক্রিয়েট করুন। এ সব কাজের জন্য থিমের সাথে ভিডিও আছে দেখে দেখে করুন।
সাইট টাইটেল,ট্যাগলাইন,পারমালিংক( ইরেজিতে নাম্বার সিরিয়াল ভাল) ঠিক মার্ক দিন।
Yoast SEOতে আপনার সাইটের মেটা ডিসক্রিপশানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড বসিয়ে দিন।
ব্লগ ডিজাইন হয়ে গেল, পেজগুলো মেন্যুতে সিরিয়াল করে নিন।হোম পেজ প্রথমে আসবে।থিমে মোবাইল ও ট্যাব ফ্রেন্ডলিতে ইয়েস মার্ক দিন।যদি মনে করেন আপনার টি সবার জন্য দেখার উপযুক্ত, আপনার পোস্টগুলোর বানান, হেডলাইন বা টাইটেল ঠিক আছে তবে একে একে পোস্টগুলো ছবি দিয়ে ড্রাফটে রেখে দিতে পারেন।
ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম
দিন ৫
এবার পোস্ট সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
ব্লগ পোস্ট টাইটেল কেমন হওয়া উচিত।
০১. নাম্বার লিস্ট যেমন: যে ১০ উপায়ে আপনি ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন, আয়ের দিকে ২০২০ সেরা ১০ ব্লগ
অড নাম্বার দিয়ে টাইটেল শুরু হলে তা গুগল সার্চে সবার আগে আসে। যেমন ২০+সাইট আপনাকে নিশ্চিত কাজ দেবে
০২. টাইটেল ৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে হতে হবে যাবে, সার্চ ফলাফলে পুরোটা দেখা যায়।
০৩. আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড টাইটেলের শুরুতে থাকলে ভাল হয়
০৪. আপনার লেখার বিষয় যদি সালের সাথে জড়িত থাকে তাহলে এভাবে লিখুন:
আয়ের দিকে ২০২০ সেরা ১০ ব্লগ
০৫. আপনার ব্লগে আরো ১০টি রেডি করা পোস্ট দিয়ে দিন। মনে রাখবেন ২৫০০-৩০০০ ওয়ার্ডের একটি ব্লগ পোস্ট অনেক মূল্যবান ৩০০/৫০০/৭০০ ওয়ার্ডের ৪টি পোস্টের চেয়ে। প্রতিটি পোস্টে যেন সঠিক কী ওয়ার্ডটি ব্যবহৃত হয়।
দিন ৬
Yoast SEO plugin এর সাবতীয় তথ্য দিয়ে সেটি পূরণ করে নিন।
যেহেতেু সাইটের মেটাট্যাগ ও পোস্টের মেটা ট্যাগ একই নয়, সেজন্য প্রতিটি পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা মেটা ট্যাগ ব্যবহার করুন।
পোস্ট লেখা ও এসইও শুদ্ধ হলে Yoast SEO plugin এর সবুজ বাতির সংকেত দেবে। সমস্যা থাকলে লালবাতির সংকেত।
এই ফাইলটি Enable your robots.txt file হবে। ব্লগ সাইট ঠিক মত চলার জন্য অন্যান্য প্লাগিনস এর ডাটাগুলো পূরণ করুন।সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার সাইট লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিন।
দিন ৭
যদি মনে করেন ৭দিনে আপনার বহু স্বপ্নের ব্লগ রেডি হয়েছে।
আপনার সাইট চূড়ান্তভাবে লাইভে যাবার পূর্বে কিছু সেটিংস চেক করে নিন।
জেনারেল সেটিংস এ সাইটের লিংক ঠিকমত বসানো হয়েছে কি না যাচাই করুন।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভিন্ন ভিন্ন ব্রাউজারে সাইটটি কিভাবে আসছে তা পরীক্ষা করুন।
বিভিন্ন পেজ ও পোস্ট ক্লিক করে দেখুন ঠিক মত খুলছে কি না।
ব্লু হোস্টে হলে সবশেষে সাইটের নাম ইনপুট করে পাবলিশ দিতে হবে। কারণ এর আগে কাজ করার সময় , সাইটটি আন্ডার কনষ্ট্রাকশন দেখায়।
আপনি ব্লকসাইট আনুষ্টানিকভাবে লঞ্চ(পাবলিশ) করে দিন।এইটিই আপনার সাইটের জন্মদিন।
আপনার মেধাবি পরিকল্পনা, কন্টেন্ট,নিস নিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে একটি পূর্ণ প্রতিযোগিতায় সক্ষম ব্লগ তৈরি হয়ে গেল। যেটির আপনি গর্বিত মালিক। নামীদামী ব্লগ, ব্লগার এবং তাদের ব্লগিং এর ওপর সর্বদা নজর রাখুন। নিজেকে সেরা ব্লগার হিসেবে দাড় করাতে বেশি দিন লাগবে না। ব্লগ থেকে আয় আসবেই।
দ্বিতীয় সপ্তাহে করুন:
এসইও সাইট অডিট
এই দিনগুলোতে আপনার প্রিয় সাইটে কি কি অনপেজ এসইও এরর রয়েছে তা চিহ্নিত করুন। সে সব সমাধান করে আপনার ব্লগসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন যাতে সহজে পায় সে ব্যবস্থা নিন। এটি আপনার সাইটের সার্বিক র্যাংক বাড়াতে সাহায্য করবে।
আপনি এসইও অডিট করে যে কোন ভালমানের সাইটে বা গুগলে সাইট অডিট করতে পারেন। এসইও সাইট অডিট লিখে গুগলে সার্চ দিলেই সাইটগুলোর তালিকা আপনার সামনে হাজির হবে।
এডভান্সড ট্রেকিং
আপনি যদি আগে কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে না জানেন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না,সাইট কতটুকু ভিজিটরের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে , না হচ্ছে না। গুগল বা ফেসবুকের ট্রেকিং কোডগুলো আপনার সাইটে ঠিকমত বসানো হলে আপনি দেখতে পাবেন, কোথেকে ভিজিটর আসছে,কি কন্টেন্ট পড়ছে এবং কি কীওয়ার্ড পাঠকদের নিয়ে আসছে। এ সব খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি সাইটকে মনেটাইজ করে অনলাইনে ইনকাম করবেন।
তাহলে আপনাকে করতে হবে—
০১. গুগল অ্যানাইটিক্স সেটআপ,এডভান্সড ট্রেকিং এবং অ্যালার্ট পেতে হবে।গুগল ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য সব সহায়তা ও পরামর্শ বিনামূল্যে আপনাকে দেবে। অ্যানাইটিক্স সেটআপ করলে আপনি দেখতে পাবেন কত বছর বয়সীরা আপনার পাঠক, তারা কম্পিউটার না মোবাইল দিয়ে আপনার সাইট দেখেছে, কতক্ষনে দেখেছে,কতক্ষণ ছিল সাইটে।
০২. সেটআপ করুন গুগল সার্চ কনসোল এবং ক্রল এরর আছে কি না।
০৩. দেখে নিন কোন জায়গা থেকে কোন কী ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে আপনার সাইটে এসেছে ভিজিটর।
০৪. পাঠকের আগ্রহ দেখে সে কী ওয়ার্ড দিয়ে সামনে এগিয়ে যান। আগ্রহের পোস্ট বাড়ান।
সাইটের লিংক বাড়ান:
যত বেশি বাইরের সাইটের সাথে আপনার সাইটের লিংক থাকবে ততবেশি পাঠক পাবেন। গুগল র্যাংকও বাড়বে। গুগলসহ সব সার্চ ইঞ্জিন মনে করবে এটি অনেক গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বা ব্লগ। তবে হাই কোয়ালিটির লিংককে গুরুত্ব দেবেন বেশি।
ব্লগ ভিজিটর/ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো/ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন
নিজের পুরানো পোস্টের সাথে নতুন পোস্টের লিংক এবং এ্যাংকর লিংক দিতে পারেন।
এসব হলো ইনবাউন্ড লিংক।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে…ক্লিক করুন।
এ রকম থাকাটা হল ইনবাউন্ড লিংক।
আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখছেন, সে পোস্ট সম্পর্কিত অন্য ওয়েবসাইটের কোন তথ্য তুলে ধরতে সেই সাইটের লিংক দিতে পারেন। এটা হবে আউটবাউন্ড লিংক।
আবার বিভিন্ন সাইটের পোস্টের নিচে কমেন্টস করে,সেখানে আপনার সাইটের লিংক দিতে পারেন।তা হবে কমেন্টস লিংক।
ব্লগকে ব্রান্ড বানাতে ও জনপ্রিয় করতে শিখে নিন
এডভান্স কন্টেন্ট মার্কেটিং
পুরানো পোস্টগুলোকে যথাযথভাবে এসইও করে নতুনভাবে মার্কেটিং করার চেষ্টা চালাতে হবে।
এ জন্য আরো জানতে হলে গুগল এ সার্চ দিন:
ব্রান্ডিং ও অভিজ্ঞতা
আপনার ব্লগকে ব্রান্ড হিসেবে পরিচিত করতে চাইলে ভিজিটরদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। ব্লগ এ প্রতিটি পোস্টের নিচে থাকছে ভিজিটরদের কমন্টেস বক্স। সেখানে কে কি চায় তার ওপর ভিত্তি করে এবং সেরা ব্লগারদের ব্লগিং অনুসরণ করে নিজের সাইটকে ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
আপনার একই নিস নিয়ে মার্কেটে কারা কারা ভাল করছে তা চিহ্নিত করুন। তাদের ফলো করুন।
বার বার সার্ভে করুন মার্কেটে আপনিার নিসকে কিভাবে অনেক বেশি জনপ্রিয় করা যায়।
ব্রান্ড বানাবার টেকনিক ও ভিজিটরদের অভিজ্ঞা নিয়ে বাড়িয়ে নিন ব্লগে লাখ লাখ ভিজিটরস।
গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন- How to build a powerful brand blog.
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় ?
ব্লগ লিখে আয়।
১০০+ উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। যেমন:
০১. অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষনীয় কোর্স সমূহ তৈরি করে এবং ওয়েবিনার বা ওয়ার্কশপ পরিচালনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি নিয়ে অনলাইনে আয় করা ।
০২.অনলাইনে নানা রকম বই বিক্রি করে টাকা আয় করা যায়। এ জন্য কোন একটি বা একাধিক লাইব্রেরির সাথে আপনার চুক্তি থাকতে হবে।
০৩. ব্লগে বিভিন্ন কোম্পানীর পণ্যের রিভিউ করে কমিশন পাওয়া যায়।
০৪. ব্লগের বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন বসিয়ে, বা গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা যায় সব চেয়ে বেশি।
০৫.ফ্রিল্যান্স সেবা ব্রিক্রি করেও টাকা আয় করা যায়।
০৬. ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ইনস্ট্রল করে ডাইরেক্ট এড মার্কেটিং করা যায়।
০৭. স্পন্সর ব্লগ পোস্ট বিক্রি করেও টাকা আয় করা যায়।
০৮. বিভিন্নপণ্যের রিভিউ লিখে পাবলিশ দিয়েও আয় করা যায়।
০৯. ব্লগে প্রাইভেট আলোচনা ফোরাম করেও আয় করা যায়।
১০. প্রশ্ন ও উত্তর দেয়ার মত সাইট বা সাব সাইট তৈরি টাকা আয় করা যায়।
১১. ব্লগে একটি পাতা বানান। নাম দিন Directory Website. সেখানে বিভিন্ন নামীদামী ব্লগের নামের তালিকা করুন।
১২. ব্লগে একটি ওয়ার্ডপ্রেস জব বোর্ড বানাতে পারেন। সেটা জনপ্রিয় হয়ে উঠলে অর্থের বিনিময়ে পোস্ট দিতে পারবেন।
১৩. কনসালটিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মানুষকে ব্যবসা সম্পর্কে নানা পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে আয় করতে পারেন।
১৪. আপনি যদি কোন খেলার কোচ হয়ে থাকেন, এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন স্টেপ বাই স্টেপ।
১৫. আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে অনলাইন টি শার্ট স্টোর বানাতে পারেন।পেতে পারেন অনলাইন অর্ডার।
১৬. আপনি ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন ডব্লিউওও কমার্স দিয়ে।
১৭. আপনি আপনার ব্লগে বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্টান অ্যামাজানের ওয়ার্ডপ্রেস শপ দিয়ে বাংলাদেশে ঘরে বসে আমেরিকায় পণ্য বিক্রি করতে পারেন। পেতে পারেন শত শত ডলার কমিশন।
১৮. আপনি আপনার ব্লগে অকশান পেজ চালু করে যারা ওয়েবসাইটসহ কোন কিছু বিক্রি করতে চান সে সব লিস্ট করে বিক্রির ব্যবস্থা নিতে পারেন।
১৯. আপনার ব্লগকে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট হিসেবে গড়েতুলে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।
২০.আপনার ব্লগে ‘নাম মাত্র মূল্যে থিম, গ্রাফিক্স সেবা নিন’ এই হেডলাইনে কমিশন ব্যবসা করতে পারেন।
এটা হলো ব্লগসাইট তৈরির সেরা টিউটোরিয়াল।