অনলাইন ইনকাম করার নানা পথ রয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে গেলে কোন পথ ধরে সামনে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক ও সাবধান হতে থাকতে হবে। আগামী ১৫থেকে ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বের ৮০% লোকের অফিসিয়াল চাকরি কমে যেতে পারে। সারা বিশ্বে অনলাইন ইনকাম নিয়ে যারা এখন নাক সিটকাচ্ছে তাদের হা হুতাশ বেড়ে যেতে পারে। ২০৪০সাল নাগাদ সারা বিশ্বে বড় বড় কাজ সমূহ আউটসোর্সিং লোকের মাধ্যমে করা হতে পারে। রোবট ও আর্টিফিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের অনেক জঠিল ও রিস্ক কাজ করে ফেলবে।
আমি আজ ঘরে বসে অনলাইনে আয় বা ইনকাম করার সহজ উপায়, টাকা বা ডলার ইনকাম করার Apps, মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার, ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২১
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ তাদের বর্তমান প্রজন্মগুলোকে আউটসোর্সিয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তুলছে। শেখানো হচ্ছে ইন্টারনেট ইনকামের ১০০% নিশ্চয়তা দেয় এমন কোর্স সমূহ।
অনলাইন ইনকাম সোর্স, অনলাইন ইনকামের উপায়, অনলাইন ইনকাম জব
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
সুযোগ পেলে পরে পড়ে নেবেন নিচের লিংকগুলো:
আউটসোর্সিং : কী, কাকে বলে, কিভাবে শুরু করবো
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার, কিভাবে শিখবো, পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন
অনলাইন ইনকাম করতে কোথায় শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
সঠিক উপায়ে আয় করার জন্য প্রয়োজন উন্নতমানের প্রশিক্ষণ।
অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশ
অনলাইন ইনকামে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে। অনলাইনে আয় করার হাজারো উপায় রয়েছে। যে যেই কাজে দক্ষ সে সেই কাজের মাধ্যমে বিশ্বের অন্য প্রান্ত থেকে টাকা কামায় করছে। ছাত্রছাত্রী, তরুণ যুবক ছাড়াও অনেক গৃহবধু ফেসবুক টুইটারে অযথা সময় না কাটিয়ে অনলাইনে ইনকাম করছেন। ঘন্টার ঘন্টা বাংলা হিন্দি কিংবা ইংরেজি ছবি দেখা তাদের একদম অপছন্দ।
অনলাইন ইনকাম জব পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।আসুন জেনে নিই অনলাইনে ১০০% নিশ্চিত আয় করতে হলে নিচের কোর্সগুলো অবশ্যই করতে হবে। ভয় পাবেন না সব কোর্স আপনাকে একাধারে করতে হবে না। প্রথমে দুএকটা শিখে অনলাইনে আয় করতে শুরু করুন । তারপর না হয় ধীরে ধীরে বাকি কোর্স করবেন।
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
বলতে নিচের কোর্স সমূহের কয়েকটির ওপর প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে :
SEO Training
Social Media Marketing Training
Email Marketing Training
Web Design Training
WordPress Development Training
PHP & MySQL Training
Graphic Design Training
Google Adsense Training
CPA Marketing Training
Affiliate Marketing Training
Video Editing & YouTube Marketing
Article Writing Training
Joomla Development Training
Drupal Development Training
Data Entry Training
Codeigniter Training
Laravel Training
OpenCart Development Training
WooCommerce Development
Android APP Development Training
কেবল ওয়েব ডিজাইন ও এসইও শিখে শত উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। অনেকে ঘরে বসে ভিডিও সিডি সস্তায় কিনে অনলাইনে আয় করার বা ইন্টারনেট ইনকাম করার চেষ্টা করেন। আমি বলবো এটি সময় ও টাকা দুটোকে নষ্ট করবে। হাতে কলমে শিখুন । ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করুন। প্রতিদিন বিশ্বে হাজার হাজারওয়েব সাইট তৈরি হচ্ছে। মনে রাখবেন এ গুলোর পেছনে আপনার আমার মত লোকজন কাজ করছেন।
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করতে হলে ভাল কাজ জানা কারো কাছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারে। এটি তাদের জন্য সহজও হবে। অথবা যে বিষয়ে আগ্রহি সেটাই শিখতে দিন। পুরুষ প্রধান সমাজে অনেকে ঘরে মেয়েদের কাজ করাটাকে অগ্রাধিকার দেন। অনলাইনে অনেক কাজ আছে যেগুলো করে নারীরা সহজে ঘরে বসে রোজগার করতে পারে। এ সব কাজের কিছু কিছু ঘরে বসে করতে পারলে মোবাইলে আয় করা যাবে।
বাংলাদেশে কোথায় ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং শিখবেন তা জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে । : অনলাইনে আয় করতে কোথায় শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং
অল্প দিন কাজ করে আয় না পেলে হতাশ হবেন না:
হতাশ হবেন না কী শিখতে হবে তা দেখে, আরো অনেক পথ আছে যেগুলো জানলে আপনি আশার আলো দেখবেন অনলাইন ইনকাম এর।
নিচে আমি আরো কিছু অনলাইন আয়ের সোর্স নিয়ে আলোচনা করবো। সব হচ্ছে টপ লেভেল মানি মেকিং মেশিন এবং অনলাইন ইনকাম এর ৯৯.৯% নিশ্চিত ও নিরাপদ। কাজ করতে পারলে টাকা পাবেনই। সেখানে আপনি কাজ করতে পারবেন ।আশা করি।
আপনি যদি একে বারে নতুন ফ্রিল্যান্সার হন, তাহলে মনকে স্থির করুন, ধৈয্য ধরে কাজ শুরু করুন। রাতারাতি লাখ লাখ টাকা অনলাইনে আয় করার স্বপ্ন দেখবেন না।
আয়ের আইডিয়া
আপনি গুগল এডসেন্স, ইউটিউব এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ডাটা এন্ট্রি, আপওয়ার্ক , ফিভার এবং আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রথমে আইডিয়া নিন। আপনি ইউটিউবে ভাল ভাল ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে। এ সব টিউটোরিয়াল দেখে দেখে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
০১. ফেসবুক থেকে আয়:
ফেসবুক চিনে না , এমন মানুষ আজকাল শহরে পাওযা মুশকিল। ৪বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ৮০বছরের বৃদ্ধ সবাই ফেসবুকের সাথে পরিচিত। ব্যবহার না করলেও জানে ফেসবুকে কি কি কাজ হয়। কি কি উপকার পাওয়া যায়।
ফেসবুক পেজ :
প্রতিদিন কোন কোন বিষয় নিয়ে( সবচেয়ে ভাল কোন একটা বিষয় নিয়ে লিখলে) আপনার ফেসবুক পেজে লিখতে থাকুন। আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের সেটাতে যুক্ত করুন। দিন দিন বাড়াতে থাকুন লাইক আর ফলোয়ার। জনপ্রিয় হয়ে গেলে আপনার পাতায় কারো প্রডাক্ট বা পণ্য নিয়ে ছোট পোস্ট দিন। সেখানে পণ্য বিক্রি করে কমিশন পাবেন। ৩০হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকে তাহলে ভিডিওগুলো মনেটাইজ করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। আবার মজার বিষয় হল জনপ্রিয ফেসবুক পেজ বিক্রিও করা যায় বেশ ভাল দামে। ১লাখ লাইক থাকলে ৫০হাজার টাকা, ৫০হাজার লাইক থাকলে ১০/২০টাকায় পেজ বিক্রি করা যায়। ২০হাজার লাইক রয়েছে এমন পেজ ৫হাজারেও বিক্রি করতে পারেন। ক্রেতা ফেসবুকেই পেয়ে যাবেন।
ফেসবুক মার্কেট প্লেস থেকে টাকা ইনকাম:
০২. এডসেন্স থেকে আয়
এডসেন্স এর সহযোগিতা বিজ্ঞাপন পেতে প্রয়োজন ভালমানের কন্টেন্ট, আর্টিকেল,নিউজ। তারমানে গুগল এডসেন্স ব্যবসার এর প্রধান চাহিদা হল কন্টেন্ট। এই এডসেন্স এড হল বিশ্বের মিডিয়ার অন্যতম ফুয়েল।অনলাইন ইনকাম এর প্রধান উৎস। এটি খুব অত্যাধুনিক বিজ্ঞাপন ব্যবসা। যেটির সাথে অনলাইন মিডিয়ায় অধিকাংশ লোক জড়িত। তাই আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করতে চান তাহলে নিচের কাজগুলো করতে হবে।
০৩. ওয়েবসাইট/ ব্লক থেকে অনলাইন ইনকাম
০১. একটি সুন্দর ও আধুনিক ডোমেইন কিনতে হবে।
০২.হোস্টিং কিনতে হবে।
০৩. মোবাইল বান্ধব ওয়েব ডিজাইন করতে হবে।
০৪. ওয়েব সাইট সিকিউরিটি সার্টিফিকেট(এসএসএল) কিনতে হবে।
০৫. কন্টেন্ট ও আর্টিকেল পোস্ট দিতে হবে( প্রতিটি আর্টিকেল হবে ২৫০০ওয়ার্ড)
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুন : ব্লগ / ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইনে ইনকাম করবেন যেভাবে
এডসেন্স পাবার পথ :
ডোমেইন কিনুন> হোস্টিং কিনুন> ওয়ার্ডপ্রেস এর সুন্দর থিম কিনুন> কন্টেন্ট লিখুন> শুরুতে ১০টি আর্টিকেল বা কন্টেন্ট পাবলিশ করুন> প্রয়োজনীয় এসইও+সোশ্যাল মিডিয়া লিংক দিন> প্রচারণা চালান> সব শেষে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করুন।সফলতা আসবেই। অনলাইেন ইনকাম হবেই।
০৪. ইউটিউব থেকে আয় :
ইউটিউব চায় ইউনিক ভিডিও। আপনি যদি নিয়মিত কোন টিউটোরিয়াল বা কোন বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে ভিডিও আপলোড করেন আপনার চ্যানেলে খুব সময়ে আপনার চ্যানেল পাঠক প্রিয়তা পাবেন।
আপনি যদি ইউটিউভ থেকে এডসেন্স দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে চান তাহলে নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন :
০১. বানান একটি ইউটিউব চ্যানেল। আপনার একটি জিমেইল থাকলেই সহজে চ্যানেল খুলতে পারবেন।
০২. প্রতিটি ভিডিওর কিছু বর্ণনা, বিষয় কীওয়ার্ড কে ট্যাগ দিয়ে ভিডিও আপলোড দিন।প্রতিদিন নতুন ভিডিও আপলোড দেবেন।
০৩. আত্মীয় স্বজন বন্ধুদের আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বানান। ১০০০জন হলেই আপনি অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত হবেন।
০৪. এবার আপনি এডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলুন। যদি আগের খোলা থাকে সেটাকে এখানে যুক্ত করে দিন।
০৫. অনলাইন আয় এর জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি টপ লেভেল কমিশন ভিত্তিক অনলাইন ইনকাম।যারা ব্লগিং করেন তারা সকলেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করে থাকেন। আপনার ব্লগ বা সাইটে কোন বড় কোম্পানীর পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দিয়ে বা সে সব সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে বিক্রয় করতে পারলে সে সব কোম্পানী কমিশন দেয় ব্লগ ওনারকে।যেমন : ইবে বা অ্যামাজন এর পণ্য বিক্রি করে শত শত ডলার আয় করছে ব্লগাররা। ইবে বা অ্যামাজন এ আপনি প্রথমে অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট খুলবেন।এর পর তারা আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দেবে। সেটি আপনার সাইটে বসাবেন এবং সেটি নিয়ে রিভিউ লেখাসহ নানা ভাবে প্রচারণা চালাবেন। আপনার লিং থেকে গিয়ে কেউ কোন কিছু ক্রয় করলে আপনি কমিশন পাবেন। এ জন্য আপনার ব্লগকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে প্রচার চালাতে হবে।
০৬. নিস ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে আয়:
আপনি অ্যামাজনের কোন একটা প্রডাক্ট নিয়ে একটি ব্লগ বা সাইট বানিয়ে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন বাংলাদেশে বসেই। যেমন : আমি ‘কিডস ট্যাব’ নিয়ে রিভিউ লিখি। নানা নামী দামী কোম্পানীর হাজারো কিডস ট্যাব রয়েছে। এ সবের ভিড়ে কেন একজন গ্রাহককে অ্যামাজনের ০০২মডেলের আও কিডস ট্যাবটি ক্রয় করা উচিত সে ব্যাপারে জোড়ালো যুক্তি দেই। তুলে ধরি সেটির তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধাগুলো। মানুষ পড়ে বুঝতে পারে যে, কোনটি তার কেনা উচিত।Which kids tablet best for your baby
যখনই কেউ আমার লিংকের মাধ্যমে গিয়ে অ্যামাজনের ওই পণ্যটি ক্রয় করেন তখনই আমার কাছে একটা কশিনের ফি চলে আসে। আর এটা হল অনলাইন ইনকাম বা অনলাইনে আয়।
০৭. ই-কমার্স সাইট বানান আর বিক্রি করুন ফিজিক্যাল প্রডাক্ট:
আজকাল অনলাইনেও অনেক ফিজিক্যাল প্রডাক্ট বিক্রি করা যায়। মানুষ মনে মনে খুঁজতে থাকে অনেক পণ্য, কিন্ত মার্কেটে গিয়ে খুঁজে পণ্য বের করার সময় তাদের হয় না। একটি পাওয়াফুল ই কমার্স সাইট তৈরি করে আপনি সংগ্রহে থাকা দেশি বিদেশি দুর্লভ পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এমনকি ছোট বড় কোম্পানীর ভালমানের যে কোন দুষ্প্রাপ্য পণ্য বিক্রি করে আপনি ভাল লাভ করতে পারবেন। কমিশনও পেতে পারেন। আপনার যদি ব্লগিং অভিজ্ঞতা থাকে সে সব পল্য সম্পর্কে আপনি ভাল রিভিউ লিখতে পারেন যাতে ক্রেতারা সহজে আকৃষ্ট হয়।
আজকাল ১০-২০হাজার টাকার মধ্যে চমৎকার ই কমার্স ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেপ্লেসগুলোতে হয়তো আরো কম খরচে আপনি মনের মত একটি ই কমার্স সফটওয়ার পেয়ে যেতে পারেন। এভাবে অনলাইন ইনকাম করা খুব সহজ।
০৮. ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইনে আয়:
ডাটা এন্ট্রি কাজটি সহজ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এটি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাছে খুব জনপ্রিয়।কোন কিছু দেখে টাইপ করা হলো ডাটা এন্ট্রি। যে কেউ আপনাকে নির্দিষ্ট সময় ও টাকার চুক্তির মাধ্যমে আপনাকে এ কাজ দিতে পারে। এখানে পিডিএফ টু এক্সেল, এক্সেরল টু পিডিএফ,পিডিএফ টু ওয়ার্ড বা এক্সেল বা ল্যান্ডিং পেজ দেখে দেখে টাইপ করার কাজ হতে পারে। এটি সবার জন্য খুব সহজ কাজ।ফ্রিল্যান্সিং জব মার্কেট প্লেসগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে এ সব কাজ থাকে।শুধুমাত্র বেসিক কম্পিউটার জানা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারলে আপনি সহজে এ কাজগুলো করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম অ্যাপ, Apps
০৯. আপওয়ার্ক থেকে অনলাইন ইনকাম:
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসহল আপওয়ার্ক।আমিসহ হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্কে কাজ করে অনলাইন ইনকাম করছেন।এ জন্য আপনার থাকতে হবে কিছু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ, যে কাজটি খুব ভালভাবে করতে পারেন এমন কাজ আপওয়ার্কে কি আছে খুঁজে নেবেন। এ জন্য প্রথমে আপনাকে প্রোফাইল খুলতে হবে। একেবারে বিনা খরচে এখান থেকে আয় করতে পারবেন। অন্য যারা কাজ করছেন তাদের প্রোফাইল ও কাজের পোর্টফোলিও দেখুন। ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করে যান। কোন এক সময় ইনকাম আসতে শুরু করবে আপনার।
১০. ফিভার থেকে আয় :
ফিভার অন্যতম জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস এবং একটু ভিন্নতর।এখানে মাত্র ৫ডলার এর কাজ করে আপনি অনলাইনে আয় শুরু করতে পারেন। এখানে আপনি কি কাজ জানেন,কেমন জানেন, তার ছোট্ট বর্ণনা দিয়ে গিগ তৈরি করবেন। যেমন: আপনি গিগে লিখতে পারেন, আমি যে কোন বিষয়ে ভাল কন্টেন্ট যথাসময়ে লিখতে পারদর্শী। বায়াররা আপনার এই গিগ দেখে আপনাকে বেছে নিতে পারেন। এখানেও প্রোফাইল,পোর্টফলিও বানাতে হয়। একাধিক ছবি ও ভিডিও দিলে আপনার প্রোফাইল বেশ আকর্ষনীয় হবে।
১১. কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখে আয়:
বর্তমান সময়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ওয়েব সাইট তৈরি হচ্ছে। এ সব সাইটে লেখা দিতে হয়। সে জন্য কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করাটা সবচেয়ে সহজ। কারণ কোনসাইটে কন্টেন্ট না থাকলে সে ওয়েবসাইট বা ব্লগের কোন দাম নেই। কন্টেন্ট হলো কিং। আপনি যে কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা আর্টিকেল সাইটগুলোতে লেখা জমা দিয়ে বা চুক্তিতে লেখালেখি করে মাসে ২০/৩০হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এ জন্য এসইও সম্পর্কে আপনাকে সামান্য ধারণা থাকতে হবে। বায়ারের দেয়া কী ওয়ার্ড দিয়ে লিখতে হবে আপনাকে।
মার্কেটপ্লেস লিস্ট :
আরো ফ্রিল্যান্সিং জব মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে চাইলে পড়তে পারেন: অনলাইনে আয় করার ১০০+ ফ্রিল্যান্সিং জব সাইট
আজকাল ভালমানের ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারলে অনলাইন ইনকাম করা সহজ। তবে ধৈর্য্য ধরে কাজের র্চ্চা করে যেতে হবে। রাতারাতি কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখলে আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না। ধৈর্য্যের ফল সবসময় মধুর হয়।