ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার রাজা নামে খ্যাত ফেসবুক থেকে নানা উপায়ে সারা বিশ্বের মানুষ প্রতি মুহুর্তে লাখ লাখ ডলার অনলাইন ইনকাম করছে। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানও বসে নেই। তারাও যা দিচ্ছে ফ্রিল্যান্সেরদের তার চেয়ে বহুগুণ বেশি আয় করছে সারা বিশ্বের বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
অনলাইনে আয়ের কথা এদেশে অনেকেই জানেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্স, ফাইভারের মত ওয়েবসাইটগুলোর সাথেও কম বেশি অনেকেই পরিচিত। কিন্তু আপনি এসব ওয়েবসাইটের থেকেও অনেক সহজভাবে গুগল এবং ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।
অনলাইন ইনকাম
আমরা যারা বাংলাদেশি তাদের একটু ধৈর্য্যশক্তি কম। আমরা দ্রুত বেশি বেশি আয় করতে চাই।সোনার ডিম পাড়া হাসকে জবাই করে ডিম বের করে নেয়ার চেষ্ঠা করি।মূলত যারা ব্লগিংয়ে নতুন এবং অনলাইনে আয় করার উপায় খুজছেন তাদের জন্যই এই লেখার উদ্দেশ্য।মূলত: বাংলাভাষাভাষির মানুষের আয় যাতে বৃদ্ধি পায় সেটিই আমার মূল লক্ষ।
বেশি ভূমিকা না লিখে সরাসরি লিখে যেতে চাই:
গুগলের এমন অনেক সেবাই রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই প্রতিমাসে একটা ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
গুগলের যে ফিচারগুলিকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা সম্ভব তার বেশিরভাগই আমাদের অতি পরিচিত। আর তার চেয়ে বড় কথা হলো, গুগল থেকে পরোক্ষভাবে বিপুল পরিমানে আয় করা সম্ভব।
ব্লগিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও ব্লগিং এর মত কাজগুলি অতি দ্রুত গতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ধরনের কাজ করতে যেমন খুব বেশি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই, তেমনি এটা থেকে অনেক বেশি অর্থও উপার্জন করা সম্ভব। চলতি বছর সহ আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এ-সব কাজের চাহিদা কমে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম। আপনার যদি স্বল্প অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি নিজের সৃজনশীলতা এবং গুগলের এসব অসাধারণ ফিচারকে কাজে লাগিয়ে এখনই ইনকাম করা শুরু করুন।
ব্লগ বা ওয়েব সাইট :
গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে হলে একটি বা একাধিক ব্লগ বা ওয়েব সাইট থাকতে হবে। যেখানে গুগল বিজ্ঞাপন দিবে। এ একটিএতকককককএএ জিমেইল একাউন্ট দিয়েই ইন্টারনেটে ইনকাম করার যতগুলি উপায় আছে তার মধ্যে নাম্বার ওয়ান উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স। গোটা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ পাবলিশার এই ওয়েবটুলটিকে ব্যবহার করে প্যাসিভ ইনকাম করে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে মজার বিষয়টি হচ্ছে এটি ব্যবহার করা এতটাই সহজ যা হয়তো এইমুহুর্তে আপনি ভাবতেও পারবেন না। অনেকেই না জানার কারণে ঠিক মতো ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে পারে না বলে অ্যাডসেন্স পায় না। তাই, গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়গুলো জেনে নিয়ে তারপর অ্যাপ্লাই করুন।
প্রকৃতপক্ষে গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে এমন একটি অ্যাডর্ভাটাইজিং প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে গুগল আপনার ব্লগ, ওয়েবাসইট, ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। ভিজিটর যখন উক্ত বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করে, তখন তার বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হয়।
ইউটিউব ভিডিও ক্রিয়েটর:
ইউটিউব চিনে না এমন মানুষের সংখ্যা খুব আছে।যেখানে ইন্টারনেট ও এন্ড্রয়েট মোবাইল পৌঁছেছে সেখানে ইউটিউব ভিডিও খুব প্রিয়তা পেয়েছে।
ইউটিউবের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। এছাড়া মানসম্মত ভিডিও তৈরীর মাধ্যমে অনেক ভিডিও ক্রিয়েটরকেও রাতারাতি সেলিব্রেটি বনে যেতেও দেখা যায়।
বর্তমান সময়ে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অন্যান্য যে কোন ওয়েবসাইটের তুলনায় ইউটিউবে অনেক বেশি সময় ব্যয় করেন। আর এটাকে কাজে লাগিয়ে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা ইউটিউব থেকে আয় করেন বছরে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম ভিডিও ক্রিয়েটরদের তাদের নিজস্ব কন্টেন্ট মনেটাইজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। ভিডিও চলার সময় যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয়, তার উপর ভিত্তি করে ক্রিয়েটরকে অর্থ প্রদান করা হয়। সেই সাথে বিজ্ঞাপনগুলোর উপর যে ক্লিক পড়ে, তা থেকেও চ্যানেল মালিককে আয় দেয়া হয়।
মূলত বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম জেনারেট করাটাই ইউটিউব থেকে আয় করার প্রধান উৎস। আপনি যদি একজন ভিডিও ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার দর্শক কিভাবে বিজ্ঞাপনগুলি দেখছে তার উপর নির্ভর করেই আপনি আয় করবেন। এখন কিভাবে দেখছে এর মানে হল বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা বা ৩০ সেকেন্ডর বেশি সময় ধরে বিজ্ঞাপন দেখা ইত্যাদি।
গুগল অ্যাড মব:
এখনকার মানুষ অনেক বেশি স্মার্টফোন নির্ভরশীল। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ যেমন না খেলে হয় না তেমনি এই ফোনও হাতে না থাকলে মানুষের এক মুহুর্ত চলে না।দিন দিন সেটির পরিমাণ বেড়েই চলবে। মূলত অনেক সহজেই বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কাজ করার সুবিধার কারণে অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনগুলি এখন মানুষের হাতে হাতে। আর এই চাহিদার কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রতিনিয়তই গুগল প্লে ষ্টোরে হাজারো নতুন অ্যাপ আসছে।
মানুষের প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় নিয়ে প্রাথমিকভাবে অ্যাপ বানিয়ে সেটিকে গুগল প্লে ষ্টোরে পাবলিশ করতে পারেন। আপনার অ্যাপটি কতবার ডাউনলোড হচ্ছে তার উপর আপনার ইনকাম অনেকটা নির্ভরশীল। অ্যাপ কতবার ডাউনলোড হচ্ছে তার জন্য গুগল আপনাকে কোন টাকা দেবে না, কিন্তু আপনার অ্যাপে যদি গুগল অ্যাড মব ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে ডাউনলোডকারী অ্যাপটি ব্যবহার করার সময়ে তাকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানোর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি হয়তো বলতে পারেন যে, আমি তো ডেভেলপার নই, আমি কিভাবে অ্যাপ ডেভেলপ করবো! সমস্যা নেই, আপনার মাথায় যদি শুধু আইডিয়া থাকে আর আপনার পকেটে থাকে টাকা, তবে আপনি যে কোন ডেভেলপারকে দিয়ে অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারেন। ভাল একজন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার খুঁজে নিন, তার সাথে চুক্তি চূড়ান্ত করুন, তাকে আপনার আইডিয়াটি পুরোপুরি বুঝিয়ে দিন এবং এক সময় আপনার অ্যাপটি বুঝে নিন আর গুগল প্লেতে আপলোড করে দিন।
এখন ভিডিও আপলোড ফেসবুক থেকে আনলিমটেড টাকা আয় করা যায়।
ইউটিউভ এর মতোই এখন আমরা নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে তার থেকে unlimited টাকা আয় করতে পারবো। কয়দিন আগেই,ফেবুক অফিসিয়ালি (officially) নতুন “video monetization” সার্ভিস শুরু করেছে।
এতে, যে কেউ নিজের একটি ফেসবুক পেজ বানিয়ে, তাতে ভিডিও আপলোড করে, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবে। এরই মধ্যে Facebook থেকে টাকা আয় করার এইটা সবথেকে লাভজনক এবং সহজ উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজের চ্যানেলে, ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপনের (ads) মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আগে কেবল YouTube একটি উপায় আমাদের কাছে ছিল। কিন্তু, ফেসবুক এই ক্ষেত্রে, এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়ের একটি নতুন বা লাভজনক উপায় হিসেবে করে দিয়েছে।
Facebook এ আয় করার এই নতুন পদ্ধতি টিকে বলা হয়, “Facebook video monetization এবং ad breaks“. এই, ad breaks বা ভিডিও monetization এর কিছু নিয়ম বা যোগ্যতা রয়েছে, যেগুলো পুরণ করলে আপনি এর ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
জানেন ফেসবুক এডস ব্রেকস কী(What is Facebook ads breaks)?
কীভাবে সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারেন?
Earn from Facebook ads breaks!
ফেসবুক নিজেই বলা মতে, এই ads breaks হলো এমন একটি সার্ভিস বা উপায়, যার দ্বারা আপনারা নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করা ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন বা ads লাগাতে পারবেন। এই বিজ্ঞাপন গুলি যখন লোকেরা দেখবেন বা ক্লিক করবেন তখন আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
Ads বা বিজ্ঞাপন গুলি ভিডিওতে স্বাভাবিক ভাবেই দেখানো হয় এবং আপনারা চাইলে সেগুলি নিজের মতো জায়গা ঠিক করে ভিডিওতে দেখতে পারবেন।
পুরোটাই YouTube এর মতোই তাইনা ??
কিন্তু হে, Facebook এর এই ads break বা video monetization সার্ভিস আপনারা কেবল নিজের ফেসবুক পেজ গুলিতে আপলোড করা ভিডিওতে ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন। নিজের Facebook প্রোফাইলে আপলোড করা ভিডিওতে এর ব্যবহার হবেনা।
Facebook ad breaks eligibility (যোগ্যতা)
ফেসবুক ads break এখন নতুন এবং এই সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য আপনাদের কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। তাই, জেকেও ads braek ব্যবহার করে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করতে পারবেননা। তবে হে, ads breaks এর যোগ্যতা বা নিয়ম কানুন গুলো তেমন কোনো কঠিন নয়।
Ads breaks eligibility rules
ফেসবুক ads break নিয়ম কানুন
আপনার নিজের একটি Facebook page হতে হবে। কারণ, আমি আগেই বলেছি যে, ads breaks এর বিজ্ঞাপন আপনি কেবল পেজে আপলোড করা ভিডিওতে লাগাতে পারবেন এবং তার থেকে তখনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে ads breaks কাজ কোরবেনা।
আপনার Facebook পেজে ১০,০০০ likes বা ফলোয়ার্স (followers) থাকতে হবে।
আপনার পেজে এমন কোনো কনটেন্ট, ভিডিও বা ছবি থাকে লাগেনা যেগুলি “Facebook policy” কে ফলো না করে আপলোড করা হয়েছে। Family friendly কনটেন্ট বা ভিডিও হতে হবে যেগুলি জেকেও দেখতে পারে। Monetisation eligibility standards মেনে চলাটা আপনাদের জরুরি।
Facebook পেজের country (দেশ) এবং language (ভাষা) এর সমর্থন (support) হতে হবে। খুশির কথা যে, বেশির ভাগ এশিয়ান দেশ এবং তাদের ভাষা যেমন, India, Bangladesh আরো অন্নান্ন কে Facebook এর এই ads break সমর্থ (support) করে। এবং, হিন্দি, তামিল, বাঙালি এবং আরো অন্নান্ন ভাষার সমর্থন ads breaks এ রয়েছে। আপনারা, Ads break country and language availability লিস্টে গিয়ে নিজের দেশ এবং ভাষা দেখে নিতে পারবেন।
আপনার বয়েস ১৮ বা তার থেকে বেশি হতেই হবে।
যাওয়া ৬০ দিনে আপনার পেজে থাকা ভিডিও গুলিতে সব মিলিয়ে টোটাল ৩০,০০০ ভিউস হতে হবে। এবং, সেই ভিডিওতে হওয়া ভিউস গুলি মিনিমাম ১ মিনিটের হতে হবে। এর বাইরেও, আপনার সব ভিডিও মিনিমাম ৩ মিনিট লম্বা (long) হতেই হবে। ৩ মিনিটের ছোট ভিডিওতে হওয়া ভিউ ads breaks এর জন্য যোগ করা হবেনা এবং সেগুলিতে আপনি বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করে আয় করতে পারবেননা।
যদি, আপনার Facebook পেজ উপরে বলা সব নিয়ম কানুন এবং যোগ্যতা গুলি মানতে সক্ষম হয়, তাহলে আপনার পেজে ads breaks ব্যবহার করা যাবে এবং তার থেকে আপনি অনলাইন টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।
আপনার Facebook পেজ কি ads break এর যোগ্য ?
যদি আপনাদের এখনো কোনো ফেসবুক পেজ নেই এবং আপনারা চাচ্ছেন ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করতে, তাহলে একটি Facebook page এখনই বানিয়ে নিন এবং তার পর তাতে ভিডিও আপলোড করে নিজের পেজের যোগ্যতা হিসেবে (if eligible) ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ads breaks এর মাদ্ধমে টাকা আয় করুন।
আর, আপনার যদি আগের থেকেই একটি ফেসবুক পেজ আছে, এবং আপনি নিজের পেজের যোগ্যতা বা eligibility দেখতে চান, তাহলে নিচে দেয়া লিংক টিতে যান।
Check Facebook Page Eligibility For Ads Breaks
ওপরে দেয়া লিংকে গিয়ে আপনাদের নিজের Facebook একাউন্টে লগইন করতে হবে যদি আপনি আগের থেকে ফেসবুকে লগইন করা নেই। তার পর আপনার Facebook একাউন্টে যতগুলি পেজ রয়েছে, সেগুলি আপনি নিচে দেখতে পারবেন।
এবং, আপনি নিচে এটাও দেখতে পারবেন যে, কোন পেজ গুলি ads breaks বা video monetization এর জন্য যোগ্য।
তা ছাড়া, যদি পেজ গুলি টাকা আয় করার জন্য যোগ্য বা eligible নয় তাহলে কেন নয় এবং কি করলে পেজ গুলি ads breaks video monetisation এর জন্য eligible (যোগ্য) হবে, সেটাও আপনারা দেখতে পারবেন।
বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার ফেসবুক পেইজ উপযুক্ত কিনা :
দেখে নিন আপনার পেইজ “Not eligible” Or Eligble
Country availability এবং Eligibility standards এর অপশনে সবুজ চিহৃ দেয়া আছে কি?
আপনার ফেসবুক পেজে এখনো ১০,০০০ likes বা followers আছে ?
পেজে থাকা ভিডিওতে টোটাল ৩০,০০০ ভিউস হয়েছে কি?।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনার পেজে এই ৪ দিক দিয়ে যোগ্যতা থাকতে হবে।
একবার আপনার পেজে monetisation enable বা eligible হয়ে গেলে, আপনারা পেজের ভিডিও গুলিতে ads বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
Facebook ads break থেকে আয় হওয়া টাকা বাংলাদেশের নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট ডিটেইলস ফেসবুক পেমেন্ট একাউন্টে সেটিংসয়ে দিতে হয়।
শর্ট লিংক : অনলাইন ইনকামের আরেকটি উপায়
অনেকে আউটসোর্সিংয়ের বিভিন্ন উপায়ে বাড়ি থেকে অনলাইনে উপার্জন করেন। কোনও সংস্থা কোনও উত্স বা প্ল্যাটফর্ম থেকে বড় পরিমাণে আয় করতে পারে না। অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের অনেকগুলি আসল উপায় রয়েছে।
তবে আপনি ফেসবুকে খুব আকর্ষণীয় পোস্ট দেখতে পাবেন যে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করে আপনি 500 ডলার উপার্জন করতে পারবেন ‘, এটি নকল তথ্য। সুতরাং আপনি যদি অনলাইনে সঠিকভাবে কাজ করেন তবে আপনি অনলাইনে উপার্জন করতে পারবেন, মনে রাখবেন যে আপনি অনলাইনে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন আপনাকে একটি পয়সাও দিতে হবে না। সমস্ত নিবন্ধন ফি বাস্তব উপার্জন সাইটে একেবারে বিনামূল্যে। তাই আপনি যদি দুই মাসে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তবে অনলাইন আয় সম্ভব নয়।
অনলাইনে উপার্জনের অনেকগুলি উপায় রয়েছে তবে এমন অনেক জালিয়াতি সাইট রয়েছে যা আপনার সাথে উচ্চতর অর্থ প্রদানের বিষয়ে কথা বলার জন্য কাজ করবে তবে সত্যিকার অর্থে কোনও অর্থ প্রদান করবে না। সুতরাং কোনও সাইটের সাথে কাজ শুরু করার আগে আপনাকে পরীক্ষা করা উচিত। আপনি কোনও সাইটে কাজ করার আগে গুগল এবং ইউটিউবে কিছুটা অনুসন্ধান করতে পারেন।
আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে ব্যবহারকারী বিভিন্ন স্থানে লিঙ্কগুলি বাছাই করে একটি লিঙ্ক পোস্ট করে। লিঙ্কটি সরিয়ে আপনি বড় ওয়েবসাইটের লিঙ্কটি সংক্ষিপ্ত করতে পারেন। অনেকগুলি ওয়েবসাইট এই লিঙ্কটি ঠিক করার জন্য এই পরিষেবা সরবরাহ করে। এর মধ্যে একটি বিট.লাই এবং গুগল। তবে আপনি এগুলি ব্যবহার করে উপার্জন করতে পারবেন না। ইন্টারনেটে আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন অ্যাডফ্লাই বা সর্ট.স্ট ইত্যাদি তারা লিঙ্কটি সাজানোর জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করবে
আপনি যখন তাদের সাথে আপনার বড় লিঙ্কগুলি বিভিন্ন জায়গায় ভাগ করেন, কেউ যদি লিঙ্কটিতে প্রবেশ করে তবে তারা পছন্দসই লিঙ্কে যাওয়ার আগে একটি অ্যাড-অন পৃষ্ঠা দেখতে পাবে। এবং অ্যাড-অনগুলি এড়িয়ে যান এবং পছন্দসই লিঙ্কে যান। এবং এটির জন্য অর্থ প্রদান করবে adf.ly বা sorte.st।
